নিজস্ব প্রতিবেদন, দেশের সময়: দেশের ক্রীড়া নক্ষত্রের তালিকায় নবতম সংযোজন এই অষ্টাদশী। হেগ শহর জয় করে কলকাতায় ফিরতেই সোনালী সংবর্ধনা পেলেন ভারতীয় প্রতিশ্রুতিমান শুটার মেহুলি ঘোষ।
আদিত্য স্কুল অফ স্পোর্টস আজ এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেহুলি সংবর্ধিত করেছে। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডের দ্য হেগ শহরে অনুষ্ঠিত হওয়া আন্তর্জাতিক শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ ‘ইন্টারশুট’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন মেহুলি। চল্লিশ বছরের বেশি পুরোনো এই তিন দিনের ক্লাব শুটিংয়ে বিশ্বের সেরা শুটারদের সঙ্গে লড়াই করে জোড়া সোনা জিতেছেন বাংলার এই শুটার। তবে তৃতীয় সোনা জয়ের সামনে চলে এসেছিলেন তিনি। একটু ভুলের জন্য দু’নম্বরে থেমে যেতে হয়। এ ছাড়া দলগত বিভাগে একটি রূপো পেয়েছেন মেহুলি। জয়দীপ কর্মকার অ্যাকাডেমির হয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তিনি। গত বছর এপ্রিলে কমনওয়েলথ গেমসেও রূপো এনে দিয়েছিলেন দেশকে। গত বছরের শেষে বুন্দেশলিগা শুটিংয়ে প্রথম নেমেই চমকে দিয়েছিলেন মেহুলি। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে শনিবার জার্মানির ভিসেন শহরে ব্রনশোয়েগার দলের হয়ে নেমে চারশোয় চারশো পয়েন্ট স্কোর করে চমকে দেন সবাইকে। বুন্দেশলিগা শুটিংয়ের ফেসবুক পেজে মেহুলির ছবি দিয়ে খবর করা হয়েছিল। তাই তাঁর মত উদীয়মান প্রতিভাকে সম্মান জানাতে পেরে খুশি সমগ্র আদিত্য গ্রুপ। সংস্থার চেয়ারম্যান শ্রী অনির্বান আদিত্য এ দিন বলেন, “মেহুলির মত তরুণ প্রতিভাকে সংবর্ধনা দিতে পেরে আমরা খুবই খুশি এবং ধন্য। আমরা ভবিষ্যতেও মেয়েদের কিভাবে লাইমটাইটের নীচে নিয়ে আসা যায় সেই চেষ্টা চালিয়ে যাব।”
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত করা হয়
মেহুলির শুটিং শিক্ষক তথা ভারতীয় শুটিং জগতের অন্যতম নক্ষত্র জয়দীপ কর্মকারকে। তিনিই মেহুলির মত প্রতিভার থেকে সেরাটা বের করে এনেছেন।
মেহুলি এখন পাখির চোখ ২০২০ টোকিও অলিম্পিক থেকে দেশের জন্য সোনা জয়। সেই পথে এগোতে কঠিন পরিশ্রম ও মনসংযোগের অধ্যাবসায় চালিয়ে যাচ্ছেন মেহুলি।