দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কথিত আছে, বড়দিনের রাতে উপহার নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘোরেন সান্তা ক্লজ। তাঁর পিঠের অতিকায় ঝোলা থেকে রেখে যান উপহার। তেমনই ছবি ধরা পড়ল বনগাঁ শহরে। রবিবার থেকেই ‘কাউন্টডাউন’ শুরু হয়ে গিয়েছিল বড়দিনের। শিশুদের পার্ক, বিভিন্ন গীর্জায় উপচে পড়েছে ভিড়। আলো ঝলমল যশোর রোড ঘিরে জমে উঠেছে বছরের শেষ উৎসবের আবহ। সকাল থেকেই একদিকে বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ শিশুদের জন্য চকলেট কেক নিয়ে ছুটছেন বিভিন্ন গীর্জায় গীর্জায়৷ অন্য দিকে বনগাঁ ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজীৎ ঘোষ তার দুই পঞ্চায়েত সদস্য পরিতোষ বিশ্বাস ও দীপক ঘোষকে সাথে নিয়ে ছুটে গেছেন গীর্জায় শিশুদের কাছে।সেখানে কেক উপহার দিয়ে সময় কাটান কচিকাচাদের সাথে।আবার আরেক দিকে বনগাঁ পুর সভার পুরপ্রধান ও ছুটেগেছেন বিভিন্ন. খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের পরিবারের কাছে উপহার নিয়ে।এক কথায় সান্তা ক্লজের ভূমিকায় দেখা যায় এই রাজনৈতিক মানুষদের কে৷
তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের বর্ষশেষ খানিকটা আলাদা। পশ্চিমবঙ্গ ব্যতিক্রম। কিন্তু সেই ব্যতিক্রম বাদ দিলে সারা বছরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে (বিশেষত বিজেপি–শাসিত) ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়েছে। মাথাচাড়া দিয়েছে বিভেদের রাজনীতি। এ রাজ্যেও রথযাত্রার আয়োজন করে ধর্মীয় বিভেদ উস্কে দেওয়ার রাজনীতিতে নেমেছে বিজেপি। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অমান্য করে তারা রথযাত্রা করতে বদ্ধপরিকর। যে রথযাত্রায় শামিল হবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের মতো সংগঠন (সেই বজরং দল, যারা ওডিশার কেওনঝড়ে খ্রিস্টান সংখ্যালঘু মিশনারি গ্রাহাম স্টুয়ার্ট স্টেইন্সকে তাঁর সন্তান–সহ পুড়িয়ে মেরেছিল)। রথযাত্রার প্রচারে নেমে বিজেপি–র রাজ্য সভাপতি প্রতিদিন প্রায় নিয়ম করে পুলিস পেটানোর নিদান দিচ্ছেন। শাসক তৃণমূলকেও তাঁর হুমকি দেওয়ার বিরাম নেই। সেই আবহে এবারের বড়দিন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম উৎসব।
সেই আবহে সান্তা ক্লজের কাছে এবার শান্তি চান শাসকদলের প্রথমসারির রাজনীতিকরা। তৃণমূলের সাংসদ তথা রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের (যিনি ঘটনাচক্রে, খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী) কথায়, ‘ক্রিসমাস শান্তির সময়। মিলেমিশে থাকার সময়। বিশ্ব জুড়ে আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার সময়। মানুষকে এটা বোঝানোর সময় যে, আপনি মানবতার প্রতি কতটা যত্নশীল। এই কঠিন সময়ে সেই বার্তাটাই সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক।’ ডেরেকের নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড়দিনের উৎসবের সূচনা করেছেন। যিনি এবারও সেন্ট পল্স ক্যাথিড্রালে ‘মিডনাইট মাস’–এ যোগ দেন। যিনি সমান আন্তরিকতা নিয়ে যোগ দেন ইদের নমাজে এবং বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয়। রবিবার ভোটের প্রচারের ফাঁকে যেদিকে নজর ঘোরালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ‘আমাদের কলকাতা সর্বধর্ম সমন্বয়ের পীঠস্থান। এখানে আমরা যেমন সব ধর্মের উৎসবে অংশ নিই। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপ্রতিমার চক্ষুদান করে টানা ৪৫ মিনিট দুর্গাস্তোত্র আবৃত্তি করেন। তিনিই অংশ নেন রেড রোডের নমাজে এবং মিডনাইট মাস–এ। সান্তা ক্লজ যেন সকলের মধ্যে সেই শুভবুদ্ধি আনেন।’
বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠের কথায়, ‘আমেরিকায় স্ট্যাচু অফ লিবার্টির পাদদেশে যেখানে লেখা, তোমাদের ক্লান্ত, দরিদ্র জনতাকে আমায় দাও। যাতে তারা স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারে। আশ্রয় নিতে পারে। গৃহহীন, বিধ্বস্ত জনতাকে আমার কাছে পাঠাও। আমি সেই স্বর্ণদুয়ারের পাশে আলো হাতে দাঁড়িয়ে। বড়দিনের সময় আমাদের সেই বোধটা নিয়ে বাঁচা উচিত, যে বোধ শান্তি, ভালবাসা এবং সর্বোপরি সহিষ্ণুতার কথা বলে।’
আর বনগাঁ ছয় ঘরিয়া পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজীৎ ঘোষের কথায়, ‘বড়দিনের দরজায় দাঁড়িয়ে সান্তা ক্লজকে একটাই কথা বলতে চাই— মানুষে মানুষে যেন ভেদাভেদ না থাকে। সকলে যেন মিলেমিশে থাকে। এই অস্থির সময়ে কারও মধ্যে যেন বিদ্বেষবাষ্প ঘনিয়ে না ওঠে। যেন শান্তি থাকে সর্বত্র।’ বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য বলেন বড়দিন, এ মানুষের মনটাও অনেকটা বড় হয়ে যায় ৷ শিশুদেরমধ্যেই যীশুকে দেখা যায় ,তাই শিশুদের পাশে থাকুন,ওদেরকে ভালবাসলে ঈশ্বরও আপনাদের ভালবাসবে৷ সান্তা শান্তি এনে দেবেন৷
তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের বর্ষশেষ খানিকটা আলাদা। পশ্চিমবঙ্গ ব্যতিক্রম। কিন্তু সেই ব্যতিক্রম বাদ দিলে সারা বছরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে (বিশেষত বিজেপি–শাসিত) ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়েছে। মাথাচাড়া দিয়েছে বিভেদের রাজনীতি। এ রাজ্যেও রথযাত্রার আয়োজন করে ধর্মীয় বিভেদ উস্কে দেওয়ার রাজনীতিতে নেমেছে বিজেপি। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অমান্য করে তারা রথযাত্রা করতে বদ্ধপরিকর। যে রথযাত্রায় শামিল হবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের মতো সংগঠন (সেই বজরং দল, যারা ওডিশার কেওনঝড়ে খ্রিস্টান সংখ্যালঘু মিশনারি গ্রাহাম স্টুয়ার্ট স্টেইন্সকে তাঁর সন্তান–সহ পুড়িয়ে মেরেছিল)। রথযাত্রার প্রচারে নেমে বিজেপি–র রাজ্য সভাপতি প্রতিদিন প্রায় নিয়ম করে পুলিস পেটানোর নিদান দিচ্ছেন। শাসক তৃণমূলকেও তাঁর হুমকি দেওয়ার বিরাম নেই। সেই আবহে এবারের বড়দিন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম উৎসব।
সেই আবহে সান্তা ক্লজের কাছে এবার শান্তি চান শাসকদলের প্রথমসারির রাজনীতিকরা। তৃণমূলের সাংসদ তথা রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের (যিনি ঘটনাচক্রে, খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী) কথায়, ‘ক্রিসমাস শান্তির সময়। মিলেমিশে থাকার সময়। বিশ্ব জুড়ে আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার সময়। মানুষকে এটা বোঝানোর সময় যে, আপনি মানবতার প্রতি কতটা যত্নশীল। এই কঠিন সময়ে সেই বার্তাটাই সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক।’ ডেরেকের নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড়দিনের উৎসবের সূচনা করেছেন। যিনি এবারও সেন্ট পল্স ক্যাথিড্রালে ‘মিডনাইট মাস’–এ যোগ দেন। যিনি সমান আন্তরিকতা নিয়ে যোগ দেন ইদের নমাজে এবং বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয়। রবিবার ভোটের প্রচারের ফাঁকে যেদিকে নজর ঘোরালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ‘আমাদের কলকাতা সর্বধর্ম সমন্বয়ের পীঠস্থান। এখানে আমরা যেমন সব ধর্মের উৎসবে অংশ নিই। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপ্রতিমার চক্ষুদান করে টানা ৪৫ মিনিট দুর্গাস্তোত্র আবৃত্তি করেন। তিনিই অংশ নেন রেড রোডের নমাজে এবং মিডনাইট মাস–এ। সান্তা ক্লজ যেন সকলের মধ্যে সেই শুভবুদ্ধি আনেন।’
বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠের কথায়, ‘আমেরিকায় স্ট্যাচু অফ লিবার্টির পাদদেশে যেখানে লেখা, তোমাদের ক্লান্ত, দরিদ্র জনতাকে আমায় দাও। যাতে তারা স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারে। আশ্রয় নিতে পারে। গৃহহীন, বিধ্বস্ত জনতাকে আমার কাছে পাঠাও। আমি সেই স্বর্ণদুয়ারের পাশে আলো হাতে দাঁড়িয়ে। বড়দিনের সময় আমাদের সেই বোধটা নিয়ে বাঁচা উচিত, যে বোধ শান্তি, ভালবাসা এবং সর্বোপরি সহিষ্ণুতার কথা বলে।’
আর বনগাঁ ছয় ঘরিয়া পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজীৎ ঘোষের কথায়, ‘বড়দিনের দরজায় দাঁড়িয়ে সান্তা ক্লজকে একটাই কথা বলতে চাই— মানুষে মানুষে যেন ভেদাভেদ না থাকে। সকলে যেন মিলেমিশে থাকে। এই অস্থির সময়ে কারও মধ্যে যেন বিদ্বেষবাষ্প ঘনিয়ে না ওঠে। যেন শান্তি থাকে সর্বত্র।’ বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য বলেন বড়দিন, এ মানুষের মনটাও অনেকটা বড় হয়ে যায় ৷ শিশুদেরমধ্যেই যীশুকে দেখা যায় ,তাই শিশুদের পাশে থাকুন,ওদেরকে ভালবাসলে ঈশ্বরও আপনাদের ভালবাসবে৷ সান্তা শান্তি এনে দেবেন৷