দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ স্বাভাবিক পরিষেবা চালু হলে লোকাল ট্রেনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে গোলাপি রঙের আইসিএফ রেকগুলিকে আরও উন্নত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নতুন ডিজাইনের ১২ বগির ৬টি রেক এসে পৌঁছেছে শিয়ালদায়। আরও ৮টি রেক শিগগিরই আসবে বলে জানা গিয়েছে। রেল সূত্রের খবর, এই নতুন ধরনের রেকগুলি যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। সঙ্গে থাকছে বগির ভিতর পরিস্রুত হাওয়ার বন্দোবস্ত। ধীরে ধীরে গোলাপি রঙের এই রেকগুলিই চলবে ইএমইউ বা লোকাল ট্রেন হিসাবে।
তবে কবে থেকে চালু হবে লোকাল ট্রেন তা এখনও ঠিক হয়নি। এদিকে, লকডাউনে যাত্রী ভিড় না থাকায় শিয়ালদা স্টেশনের ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে। পূর্ব রেল সূত্রে বলা হয়েছে, রেল যাত্রা আরামদায়ক করতেই সবরকমের চেষ্টা চলছে।
গোলাপি রঙের আইসিএফ–মেধা নির্মিত রেক নিত্যযাত্রীদের পরিচিত। উন্নত ডিজাইনের এই রেকের বগিগুলিতে যাত্রীদের দাঁড়াতে বিশেষ সুবিধা হয়। বসার আসনগুলিও সাধারণ ইএমইউ কোচের থেকে আলাদা। আইসিএফ–মেধা বহু আগেই ভারতীয় শহরতলির ট্রেন যাত্রীদের জন্য এই রেক বানায়। লকডাউনের মধ্যে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিমান নির্মাণ সংস্থা বোম্বাডিয়ারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আরও উন্নত মানের রেক বানাচ্ছে আইসিএফ।
শিয়ালদায় আসা এই কোচগুলিতে আগের মতোই যাত্রীদের পা ছড়িয়ে ভালভাবে বসার বা দাঁড়াবার জায়গা রয়েছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভিড়ের মধ্যেও সুবাতাসের বন্দোবস্ত। প্রতিটি বগিতেই রয়েছে এয়ার প্যানেল। এরমাধ্যমে বগির ভেতরকার গরম বাতাস বাইরে বার করে বাইরের বিশুদ্ধ বাতাস ঢুকবে বগির ভেতর। সঙ্গে থাকছে জিপিএস সুবিধা যুক্ত ডিসপ্লে বোর্ড। মহিলা বগিতে সিসি ক্যামেরাও থাকছে।
নতুন ধরনের ১২ বগির এই রেক আপাতত ১৪টি যুক্ত হচ্ছে শিয়ালদা ডিভিশনে। পরবর্তীতে আরও আসতে পারে। রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন শিয়ালদা ডিভিশনে গড়ে ৯৫০টি লোকাল ট্রেন চলে। এরজন্য ২৫০টিরও বেশি রেকের প্রয়োজন হয়। নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন চালু হলে এই রেকগুলি হাতে এসে যাওয়ায় বাড়তি সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কবে থেকে লোকাল ট্রেন চালু হবে সেবিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। রাজ্য সরকারের সঙ্গে শিগগিরই পূর্ব ও দক্ষিণ–পূর্ব রেলের কর্তারা বৈঠকে বসবেন। সেখানে ঠিক হবে ফের লোকাল ট্রেন চালুর ভবিষ্যৎ।
নিউ নর্মালে সামাজিক দূরত্ব মেনেই মেট্রো চলছে। যাত্রীও বাড়ছে। আরও বেশি করে তাঁরা এখন ই–পাশ দেবেন। শুক্রবার দমদম–কবি সুভাষ রুটে ৪০ হাজারেরও বেশি যাত্রী হয়েছে। মেট্রোর আশা লোকাল ট্রেন চললে যাত্রী আরও বাড়বে। এখনই তাঁরা সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে দিনে এক লাখ যাত্রী বহন করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে মেট্রো সূত্রে৷