পিছিয়ে পড়া মানুষের ছোটো ছোটো স্বপ্ন সত্যি করার তাগিদে গড়ে ওঠা সেচ্ছাসেবী সংগঠন পথের দিশারী অষ্টম বর্ষে পা রাখল । বর্ষপূর্তির দিনে এই সেচ্ছাসেবী সংগঠন নিয়েছে এক বিশেষ উদ্যোগ। সমাজে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে যারা সুস্থ মানুষদের পিছনে ফেলে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে তাঁদের সম্মানিত করার উদ্যোগ নিয়েছে । যেখানে আট জনকে বিশেষভাবে পুরষ্কৃত করা হল এবছর। গত শুক্রবার বিকেল ৪টে অনুষ্ঠিত হল পথের দিশারী -র জন্মদিনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শিবানী ঘোষ, শতরূপা সরকার, প্রবির সরকার, ওলি মিশ্র, অনন্যা চক্রোবর্তি, অনুষ্কা মণ্ডল, অরূপ রায়, সুব্রত ক্ষেত্র এই আট জন নিজেদের জীবনযুদ্ধে জয়ী। এঁরা প্রত্যেকেই বিশেষ প্রতিবন্ধীকতা পেরিয়ে কর্ম যোগ্যতায় নিজেদের সঙ্গে সম্মানীত করেছে সমাজকে। জীবনের শুরুতে হয়ত এই সমাজই পিছিয়ে রাখতে চেয়েছিল এই মানুষ গুলিকে। কিন্তু প্রত্যেকে প্রমাণ করেছে তাঁরাও পারে। তাঁদের বিশেষ ক্ষমতাকে সম্মানীত করতেই পথের দিশারী নিয়েছে এমন উদ্যোগ। দমদমের নাগেরবাজার অজিতেশ মঞ্চে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সমাজের ট্রু ফাইটার দিয়ে নিয়ে এক অভিনব অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে সমাজের ট্রু ফাইটার দের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বলাবাহুল্য ইস্ট বেঙ্গলের ফুটবলার এলবিটা ডি কনা এদিন বিশেষ ভাবে পথের দিশারী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ওনাকেও উত্তরীয় পরিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া দেওয়া হয়।
২০১৫ সালে গড়ে উঠেছিল এই পথের দিশারী। যার কর্ণধার শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জী। তাঁর কথায়, পথের দিশারীর প্রাধান ভূমিকা ছিল পুরুলিয়ার শবর জাতির শিক্ষার দায়িত্ব নেওয়া। আস্তে আস্তে শবরদের শিক্ষার প্রসারের ক্ষেত্রে পুরুলিয়া জেলা জুড়ে প্রায় সাতটি স্কুল চালায় পথের দিশারী। পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্বল মানুষদের জন্য নানান দিক থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এই সেচ্ছাসেবী সংগঠন।