দেশের সময়ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, বালাকোটে ভারতীয় বায়ু সেনার হানায় আদৌ কি কোনও জঙ্গি মারা গিয়েছে। বোমা কি ঠিক জায়গায় পড়েছিল? এবং এই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা এও বলেছিলেন, জওয়ানদের রক্ত দিয়ে রাজনীতি করবেন না৷
শুক্রবার নাম না করে মমতার সেই আক্রমণেরই জবাব দিতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে একটি রাজনৈতিক সভায় বক্তৃতা দেন তিনি। সেখানেই মোদী বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হল, কিছু রাজনৈতিক দল মোদীকে ঘৃণা করতে গিয়ে দেশকেই ঘৃণা করতে শুরু করেছে।
গোটা দুনিয়া সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইকে সমর্থন করছে, কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল এই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। এবং তাদের সেই অবস্থান আখেরে পাকিস্তানকেই সাহায্য করছে। তাদের বক্তব্যই, পাক সংসদে সে দেশের রাজনীতিকরা তুলে ধরছেন। পাক রেডিওতে তা বলা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ওদের সরাসরি একটা প্রশ্ন করতে চাই। আপনারা কি আমাদের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করেন, নাকি তাঁদের সন্দেহ করেন। তাঁর কথায়, মোদী ক্ষমতায় থাকবে কি থাকবে না, তা বড় কথা নয়। কিন্তু রাজনীতির নামে দোহাই তারা যেন দেশকে দুর্বল না করে দেন।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, মোদী ভুল কথা বলছেন না। হয়তো একদম ঠিক বলছেন। বালাকোটে ভারত কত জঙ্গি মারতে পেরেছে, আদৌ পেরেছে কি না, তার ছবি কোথায়? কই বিদেশি সংবাদমাধ্যম তো বলছে কেই মারা যায়নি। এ সব কথা বলে প্রকারান্তরে ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে ঘটনা হল, যারা এই সব প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা সকলেই জাতীয়তাবাদী এবং তাঁদের কারও মনে ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ নেই।
কিন্তু তাঁদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না মোদীর কথা। বালাকোটে বায়ুসেনার হামলাকে সামনে রেখে মোদী যে রকম রাজনীতি করতে নেমে পড়েছেন তাও নাপসন্দ সমাজের এই অংশের। আবার তৃণমূলের মতো রাজনৈতিক দল মনে করছে, মোদী যখন রাজনীতি করছে, তখন আমরাও মুখ বুঝে থাকব কেন? এবং সেই কারণেই বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতাও। বলা যেতে পারে, এতেই ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে ভারতের, এবং সেনাবাহিনীরও মনে করেছন পর্যবেক্ষকরা৷