বৃহস্পতিবার সন্ধে বেলা দমদম সেন্ট্রাল জেল মাঠে সভা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। জানা গিয়েছে প্রধামন্ত্রীর সভার পরই নাগের বাজার এলাকায় এক পরিচিতর পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান মুকুল রায় এবং শমীক ভট্টাচার্য। মুকুল রায় রয়েছেন শুনেই ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে স্থানীয় তৃণমূলের বাহিনী। যত সময় এগোয় তত জমায়েত বাড়তে থাকে তৃণমূলের। অভিযোগ, তৃণমূল লাগাতার ইট, পাথর ছুড়তে শুরু করে ওই বাড়ি লক্ষ্য করে।
তৃণমূলের অভিযোগ, প্রচার শেষের পরও মুকুল রায় দমদমে কী করছেন। এটা ওঁর এলাকা নয়। নিয়ম অনুযায়ী ও থাকতে পারেন না। জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে টাকা বিলির অভিযোগ তুলেছে শাসক দল। মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, শনিবার পর্যন্ত দমদমে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁকে অনুমতি দিয়েছে কমিশন। এডিজি আইন শৃঙ্খলা সিদ্ধিনাথ গুপ্তা বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল। ফোর্স পৌঁছেছে।”
এই বিষয়ে বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমকে ফোনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘মুকুল রায় সিপিএমের প্রাক্তন নেতা পল্টু দাশগুপ্ত এবং শমীক ভট্টাচার্য বৈঠক করছিলেন৷ টাকার লেনদেন করছিলেন৷ সিমপ্যাথি ড্র করার খেলায় নেমেছে৷ টাকার ডিল হচ্ছিল৷ ছেলেদের বলেছিল, পুলিশকে জানাও, নির্বাচন কমিশন বিষয়টি দেখবে৷ ওই বিক্ষোভে তৃণমূলের কর্মীরা নেই৷ বিজেপির কর্মীদের ডেকেই নিজেদেরই গাড়ি ভাঙচুর করিয়েছে৷ বিদ্যাসাগর কাণ্ডের পর এই সিমপ্যাথি ড্র করার খেলা চলছে৷ মুকুল রায় গল্প তৈরি করার মাস্টার৷ তিনি গল্প তৈরি করছেন৷’
একজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ও একজন প্রার্থীকে ভোটের দু’দিন আগে শহরের বুকে ঘেরাও হয়ে থাকতে হচ্ছে। তাঁদের মতে, দশটার পরে মুকুল রায়ের দমদমে থাকা যদি নিয়মবহির্ভূত হয় সেটা তো কমিশনের দেখা উচিত। কেন তৃণমূল করবে। সব দেখে অনেকেই বলছেন, অন্যান্য জায়গার মতো দমদমের পরিস্থিতি নিয়েও আলাদা করে ভাবতে হবে কমিশনকে।