দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অকালি দলের একমাত্র মন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল। হরিয়ানার বিজেপির শরিক জননায়ক জনতা দলের নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত সিং চৌতালা শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের কাছে গিয়ে ওই বিল সম্পর্কে প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন। এরপর ওই ইস্যুতে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্য, কৃষকদের ঠকানোর জন্য মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে।
এদিন বিহারে কোশী নদীর ওপরে একটি সেতুর উদ্বোধন হয়। ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই উপলক্ষে তিনি যে ভাষণ দেন, তার সিংহভাগ জুড়ে ছিল বিতর্কিত কৃষি বিলের প্রসঙ্গ। ‘ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য’ তিনি পরোক্ষে কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেন।
তাঁর কথায়, “কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তাঁরা ফসলের ন্যায্য দাম পাবেন না। যারা এইসব রটাচ্ছে, তারা ভুলে যাচ্ছে, আমাদের কৃষকরা যথেষ্ট সচেতন।” পরে তিনি বলেন, “একটি মহল থেকে রটানো হচ্ছে, সরকার নাকি আর চাষিদের থেকে চাল, গম সংগ্রহ করবে না। এটা একেবারে মিথ্যা কথা। চাষিদের বোকা বানানোর জন্য এসব রটানো হচ্ছে।”
চাষিদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কৃষি নিয়ে যারা অযথা আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছে, চাষিরা যেন তাদের সম্পর্কে সজাগ থাকেন। আমি আবার বলছি, যারা আপনাদের ভুল পথে পরিচালিত করতে চায়, রাগিয়ে তুলতে চায়, তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। তারা চায়, আপনাদের দারিদ্র চিরস্থায়ী হোক। পুরানো ব্যবস্থা থেকে তারা ফয়দা লুটতে চায়। এই জাতীয় লোকজন কয়েক দশক ধরে ক্ষমতায় ছিল। তারা কৃষকদের নিয়ে অনেক কথা বলেছে বটে কিন্তু কাজে কিছুই করেনি।”
मैं देश के किसानों को स्पष्ट संदेश देना चाहता हूं। आप किसी भी भ्रम में मत पड़िए।
— Narendra Modi (@narendramodi) September 18, 2020
जो लोग किसानों की रक्षा का ढिंढोरा पीट रहे हैं, दरअसल वे किसानों को अनेक बंधनों में जकड़कर रखना चाहते हैं।
वे बिचौलियों का साथ दे रहे हैं, वे किसानों की कमाई लूटने वालों का साथ दे रहे हैं। pic.twitter.com/dZlnxV591F
বৃহস্পতিবার সংসদে তিনটি কৃষি বিল পাশ হয়। সেই প্রসঙ্গ তুলে মোদী বলেন, “কৃষকরা যাতে ফসলের ন্যায্য দাম পান, সেজন্য সরকার দায়বদ্ধ। তাঁরা অবশ্যই ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাবেন।” বিরোধীদের সমালোচনা করে মোদী বলেন, “কৃষকরা দেখছেন, অনেকে চায় না তাঁরা কোনও নতুন সুবিধা পান। কারা দালাল আর ফড়েদের পক্ষে কথা বলছে, তাও কৃষকরা লক্ষ করেছেন।”
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, যে কৃষি বিলগুলি পাশ হয়েছে, তাতে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা পাবে। কৃষকদের কল্যাণের জন্য সরকার ঐতিহাসিক উদ্যোগ নিয়েছে।