ভবানীপুরে আটে-আট তৃণমূল, একটা ওয়ার্ডেও হারিনি জিতে বললেন মমতা: জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জের উপনির্বাচনেও জয় তৃণমূলের

0
387

দেশের সময় ওযেবডেস্কঃ ভবানীপুর বিধানসভার অধীন কলকাতা পুরসভার আটটি ওয়ার্ডেই জিতল তৃণমূল। আর নিজের এমন জয়ে খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ভবানীপুরে জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধন্যবাদ দিলেন সেখানকার মানুষদেরকে। বললেন একটি ওয়ার্ডেও এখানে হারিনি আমরা, এটা রেকর্ড।

তবে জিতে ভি ফর ভিকট্রি সাইন দেখাতে দুই আঙুল তুলতে চাইলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন আমি তিন কেন্দ্রের জন্য তিন আঙুল দেখাবো। এক দুই তিন, মানুষকে ধন্যবাদ দিন।

ভবানীপুরে জয়ের এই শুভদিনেই আরও তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তিপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে লড়বেন ব্রজকিশোর গোস্বামী। দিনহাটা থেকে লড়বেন উদয়ন গুহ। খড়দহ থেকে লড়বেন শোভিনদেব চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও গোসাবায় উপনির্বাচন রয়েছে, তবে এই কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম আজই আরও খানিক পরে জানাবেন বলেছেন মুমতা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সীদের সঙ্গে আলোচনা করে গোসাবার প্রার্থী ঘোষণা হবে।

এদিন মমতা আরও বলেন, ভবানীপুরে এত ভোটে আমাকে জেতানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা আর সেলাম। এখানে ভোটার কম, চিরকালের ধারা। ২০১১ সালেও আমি এখান থেকে রেকর্ড ৫৪ হাজার ভোটে জিতেছিলাম, তখন ভোট পড়েছিল ৪৪ শতাংশ। এই প্রথম ভবানীপুরে আমরা কোনও ওয়ার্ডে হারিনি। সব ওয়ার্ডে মানুষ আমাদের জিতিয়েছেন। বর্ষা কোভিডের মাঝেও এই জয় অনেক কিছু দেখিয়ে দিল।

নন্দীগ্রামের ভোট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নাম না করে মমতা বলেন অনেক চক্রান্ত হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। বাংলা আঘাত পেয়েছিল। ভবানীপুর তার জবাব দিল।

অন্যদিকে ,সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর– এই দুই বিধানসভাতেও জয়ী হল তৃণমূল । ৯২ হাজার ৬১৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন। সামসেরগঞ্জে ২৬ হাজার ১১১ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম।

রবিবার সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছিল এই দুই কেন্দ্রে। জঙ্গিপুর পলিটেকনিক কলেজে এই দুই কেন্দ্রের ভোট গণনা চলছিল। প্রথম থেকেই তৃণমূলের পাল্লা ভারী ছিল। বিকেলে স্পষ্ট হয়ে গেল জয়।

করোনায় মৃত্যু হয়েছিল সামসেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক ও জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। এর পরেই উপনির্বাচন নিশ্চিত হয়ে যায় এই দুই কেন্দ্রে।

জঙ্গিপুরে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন সুজিত দাস। আরএসপির প্রার্থী ছিলেন জানে আলম মিঞা। তবে দশম রাউন্ড গণনার পর থেকেই আনন্দ উল্লাসে মেতেছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। আর ফলাফল তৃণমূলের অনুকূলে যেতেই এলাকায় শুরু হয়ে যায় মিষ্টিমুখ। সবুজ আবিরে ভরে ওঠে এলাকা।

সামসেরগঞ্জে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন মিলন ঘোষ, সিপিএমের মোদাস্সর হোসেন ও কংগ্রেসের জইদুর রহমান। তবে এবার ২০১৬ সালের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান।

আজ সকালেই ভবানীপুরে একেবারে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ফলাফল ঘোষণার পরে তিনি দুটো আঙুল নয়, তিনটে আঙুল তুলে প্রতীকী বিজয় চিহ্ন দেখিয়েছিলেন। সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের আসনও তিনি জিততে চলেছেন বলেই এমনটা দেখিয়েছিলেন। দিনের শেষে তিনটি কেন্দ্রেই জয় তৃণমূলের।

Previous articleভবানীপুর উপনির্বাচনে ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Next articleমাদক-কাণ্ডে আরিয়ান সহ ধৃত তিন জনকে এনসিবি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here