দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডে লালবাজারের হাতে গ্রেফতার জামতাড়া গ্যাংয়ের মোট সাতজন। গত জুন ও জুলাই মাসে কলকাতা শহরে দায়ের হওয়া দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে এই সাতজনকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।
পুলিশ জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া গ্যাংয়ের এই প্রতারকরা কখনও নিজেদের ব্যঙ্ককর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওটিপি জেনে, কখনও বা ব্যাঙ্কের তরফে কেওয়াইসি আপডেট করার নামে জালিয়াতি করত। ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছিল এদের নেটওয়ার্ক। দিনদিন বাড়ছিল জালিয়াতির ঘটনা। কোনওভাবেই বাগে আনা যাচ্ছিল না প্রতারকদের। শেষ পর্যন্ত পিপিই কিট পরে কোভিড ওয়ারিয়র স্বাস্থ্যকর্মী সেজে এইসব জামতাড়া গ্যাংয়ের সদস্যদের বাড়িতে হানা দেয় লালবাজারের পুলিশ। পরিকল্পনায় সফল হয় গোয়েন্দা বিভাগ। অবশেষে পাকড়াও হয় অভিযুক্তরা।
জানা গিয়েছে, গত জুন মাসে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা এবং জুলাইয় মাসে শ্যামপুকুর থানা এলাকায় প্রতারণার দু’টি মামলা দায়ের হয়। এর ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। সূত্রের খবর, শ্যামপুকুর থানার ঘটনায় ব্যাঙ্কের যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য সবিস্তারে জেনে এক মহিলার থেকে ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। মহিলা ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার পূর্ব বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা। ব্যাঙ্কের মারফৎ এক লক্ষ টাকার হদিশ পাওয়া গেলেও বাকি টাকা মেলেনি। তদন্তে নেমে সব খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে এর পিছনে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া গ্যাং। এই প্রতারণার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আর জুন মাসে লেদার কমপ্লেক্স থানায় যে অভিযোগ জমা পড়েছিল সেক্ষেত্রে এক মহিলার সঙ্গে হওয়া প্রতারণার ঘটনায় ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। দেড় লাখ টাকার সন্ধান পাওয়া গেলেও বাকি টাকার খোঁজ মেলেনি। এই ঘটনার তদন্তে নেমেও লালবাজারের হাতে আসে জামতাড়া গ্যাংয়ের নাম। অবশেষে এই প্রতারণার মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মূলত ব্যাঙ্ককর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ফোন বা মেসেজের মাধ্যমেই জালিয়াতির কাজ করত জামতাড়া গ্যাংয়ের প্রতারকরা।
এর আগে আরও দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। এবার গ্রেফতার হয়েছে ৭ জন। অতরব গত কয়েক মাসে এই নিয়ে মোট ৯ জন জামতাড়া গ্যাংয়ের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার।