গত পঞ্চাযেত নির্বাচনে আষাঢ়ু গ্রাম পঞ্চাযেত সহ গোটা বাগদা ব্লকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে সিপিএম নেতা বড় আন্দোলন, প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, শনিবার তিনি সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। দলত্যাগী এই নেতার নাম গণেশ ঘোষ। আষাঢ়ু পঞ্চাযেের এই প্রাক্তন সদস্যের সঙ্গে দল ছাড়লেন বর্তমান সিপিএম সদস্য দেবাশিষ বিশ্বাসও। এই ঘটনায রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোরণ সৃষ্টি হয়েছে৷

শনিবার দুপুরে বাগদার হেলেঞ্চায দলের কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত বিধানসভার তৃণমূলের মুখ্য সচেতক এবং জেলা তৃণমূলের ‌ পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ এদিন তাঁদের হাতে দলীয পতাকা তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন বাগদা ব্লক তৃণমূল পর্যবেক্ষক শঙ্কর আঢ্য, কর্মাধ্যক্ষ রতন ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। এ ব্যাপারে গনেশ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনু্প্রাণিত হয়ে তাঁর উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিজেদেরকে সামিল করতে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলাম। বাগদা ব্লকের বিশেষ করে আষাড়ু গ্রাম পঞ্চাযেের আমডোব গ্রামের ৱুথে পঞ্চাযে নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক গোলমাল বাধে। ঘটনার জেরে তৃণমূলের বেশ কযেজন নেতা, কর্মী জখম হন। এই ঘটনায অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সিপিএম নেতা গনেশ ঘোষ। নির্বাচন পর্ব মিটে যাবার মাস কয়েক পর সেই গনেশ ঘোষ সহ অন্যান্য সিপিএম নেতা, কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেবার জন্য দলের নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানান। সেই আবেদনপত্র পাঠিযে দেওযা হয জেলা সভাপতি জ্যোতি্প্রিয় মল্লিকের কাছে। তাঁর অনুমোদন সাপেক্ষে এদিন গনেশ ঘোষ সহ অন্যান্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগদান করানো হয় বলে শঙ্কর আঢ্য জানান। শনিবারের এই রাজনৈতিক পালাবদলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক ও বিরোধী সব দলের মধ্যেই আলোরন ও চর্চা শুরু হয়েছে। এখন দেখার নতুন দলে গিযে গণেশ ঘোষ ও তার অনুগামীরা কতটা তৃণমূলের শুভাকাঙ্খী হযে উঠতে পারে, সেদিকেই তাকিযে রয়েছে বাগদা সহ বনগাঁ মহকুমার রাজনৈতিক কর্মী থেকে সাধারণ ভোটাররা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here