বাগদাদে আমেরিকার এয়ারস্ট্রাইক,নিহত ইরানের সেনাপ্রধান-সহ অন্তত আট

0
525

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মার্কিন সেনাবাহিনীর হামলায় মৃত্যু হল ইরানি কুদস সেনা প্রধান কাসেম সোলেমানির ৷ শুক্রবার ভোরে বাগদাদের বিমানবন্দরের সামনেই রকেট হামলায় মৃত্যু হয় কাসেমের ৷ এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে আধাসেনার এক উচ্চ-পদস্থ অফিসার আবু মেহদি আল-মুহানদিস এবং বিমানবন্দরের প্রোটোকল অফিসার মহম্মদ রেদার।

ইরাকের সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, সোলেমানি এবং ওই অফিসার ছাড়াও বিমানবন্দরে নিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবির অন্তত পাঁচ জন নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার ভোররাতে আচমকাই বাগদাদ বিমানবন্দর লক্ষ করে অন্তত চারটি রকেট নিক্ষেপ করা হয় বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। মার্কিন বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে বাগদাদ বিমানবন্দরে মোতায়েন হাশদ আশ-শাবির দু’টি গাড়ি লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়।

এই ঘটনার পরেই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আমেরিকার পতাকা পোস্ট করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পেন্টাগনের তরফে সরকারি বিবৃতি দিয়ে এই হামলার কথা স্বীকারও করা হয়। বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই এই হামলা চালিয়েছে তারা।

ইরাকের আধাসামরিক বাহিনীর এক আধিকারিক জানান, ইরান থেকে কিছু শীর্ষকর্তার ইরাকে আসার কথা ছিল এ দিন। সেই কারণেই বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোতায়েন ছিল সেনা। পৌঁছেছিলেন বিমানবন্দরের প্রোটোকল অফিসার মহম্মদ রেদাও। তিনি যখন ইরান এলিট গার্ড ফোর্সের প্রধান সোলেমানি ও মুহানদিসকে নিয়ে বিমানবন্দরে থেকে বেরোচ্ছিলেন, তখনই তিনটি রকেট পড়ে। ঘটনাস্থলে থাকা সকলের মৃত্যু হয়। দেহগুলি এমন ভাবে পুড়ে যায় যে চেনা যাচ্ছে না।

ঘটনার প্রেক্ষাপট অবশ্য তৈরি হয়েছিল গত রবিবারই। হাশদ আশ-শাবির কয়েকটি ঘাঁটিতে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ৩০ জনকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে আমেরিকার বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় স্থানীয়দের। দূতাবাসের একটি অংশে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। দাবি ওঠে ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের সরানো হোক।

তিন দিন পরে বিক্ষোভ স্তিমিত হয়। কিন্তু তার পরেই আচম্বিতে এই রকেট হামলা চালিয়ে বসল মার্কিন বাহিনী।

Previous article‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’,চালু হয়ে গেল,রাজ্যে না’ মমতার
Next articleYour Shot 🔘 BЗагородном парке!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here