দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রায় এক বছর পর শুক্রবার ফের বিদেশ সফরে গেলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্র এবং শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূ্র্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বাংলাদেশে গিয়েও মতুয়াদের মন পেতে মরিয়া মোদী। সূত্রের খবর, সেখানে গিয়ে বাংলাদেশের মতুয়াদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। পুজো দেবেন মতুয়াদের মন্দিরেও।
রাত পোহালেই বঙ্গবিধানসভা ভোট। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৭০টিরও বেশি আসনে মতুয়া ভোট বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বাংলায় মতুয়াদের মন পেতে লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। এমনকী, এই লক্ষ্যে সভা করেছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। এবার ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে গিয়েও সেখানকার মতুয়াদের মনজয়ের চেষ্টা করছেন মোদী।
ঢাকায় পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রীর ছবি শেয়ার করলো পিএমও:
A special visit begins with a special gesture.
— PMO India (@PMOIndia) March 26, 2021
PM Sheikh Hasina welcomes PM @narendramodi at Dhaka airport. pic.twitter.com/5zyKWpIepv
প্রধানমন্ত্রী দফতর সূত্রে খবর, দুদিনের বাংলাদেশ সফরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি যশোরেশ্বরী মন্দিরে পুজোও দেবেন তিনি। যাবেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়াতেও। সেখানে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি। এছাড়াও ওড়াকান্দিতেতে গিয়ে মতুয়াদের সঙ্গে দেখা করবেন মোদী। পাশাপাশি মতুয়া সম্প্রদায়ের মন্দির হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দরে পুজো দেবেন তিনি।
অভিজ্ঞমহলের কথায়, মাঝে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও বাংলাদেশ এবং এপার বাংলার মানুষের মধ্যে আত্মীক যোগাযোগ রয়েছে। ফলে বাংলাদেশের মতুয়াদের প্রতি মোদীর এই সৌজন্য এপার বাংলার মতুয়াদের মনেও প্রভাব ফেলতে পারে। সেদিক থেকে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির এক বছর পর প্রথম আমি বিদেশ যাত্রা করব। আমাদের বন্ধু ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করব। ‘
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঢাকায় পৌঁছান মোদী। এদিন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে নরেন্দ্র মোদীকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিমানবন্দর থেকে মোদী যান জাতীয় স্মৃতিসৌধে। এদিন বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এরপর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। ২০১৫ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন মোদী। এটি তাঁর দ্বিতীয় বঙ্গ সফর।