সোমনাথ দাস ,ঠাকুরনগর: প্রথম এবং দ্বিতীয় ট্রেন চালানোর দাবিতে শিয়ালদা–বনগাঁ শাখার ঠাকুরনগর স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু হয়েছে। এলাকার কয়েক’শ ফুল ব্যবসায়ী এই অবরোধে সামিল হয়েছেন। রেল লাইনের উপর বসে পরে এই অবরোধে সামিল হয়েছেন তাঁরা। অবরোধকারীদের মধ্যে প্রচুর মহিলা ফুল ব্যবসায়ী রয়েছেন। এই অবরোধের ফলে এদিন সকাল থেকে এই শাখায় ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঠাকুরনগর এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ ফুল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ঠাকুরনগর পাইকারি ফুল বাজারের পাশাপাশি এই ফুল ব্যবসায়ীরা কলকাতা এবং হাওড়ার পাইকারি ফুল বাজারে ফুল বিক্রি করতে যান। তাঁরা মূলত বনগাঁ থেকে শিয়ালদাগামী প্রথম এবং দ্বিতীয় ট্রেন ধরে কলকাতায় যান। ঠাকুরনগরে এই দুটি ট্রেন ছাড়ার সময় রাত ৩ টে ১৫ এবং ৪ টে ৪০ মিনিট।
করোনা পরিস্থিতি ফের উদ্বেগজনক হয়ে পরায় দিন দুই আগেই রাজ্য সরকার নতুন করে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করে। তাতে রাত ১০ টা থেকে পরদিন ভোর ৫ টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি করা হয়। এর কারণে এই সময়ের মধ্যে ট্রেন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। আর তারফলেই সমস্যায় পরেছেন ঠাকুরনগর এলাকার ফুল ব্যবসায়ীরা।
তাঁদের দাবি, প্রথম এবং দ্বিতীয় ট্রেনেই তাঁরা ফুল নিয়ে কলকাতায় যান। আর এই ট্রেন চলাচল বর্তমানে বন্ধ থাকায় তাঁরা আর্থিক সমস্যায় পরেছেন। প্রতিদিন ট্রাক ভাড়া করে ফুল নিয়ে কলকাতায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই তাঁদের দাবি, আগের মতো প্রথম এবং দ্বিতীয় ট্রেন চালু করতে হবে। এই দাবিতে রাত ২ টো থেকে তাঁরা ঠাকুরনগর স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু করেছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছে। দাবি না মেটা পর্যন্ত এই অবরোধ চলবে বলে অবরোধকারীরা জানান।