

কলকাতা : কথায় আছে কালী কলকাত্তাওয়ালি। আবার কারোও কারও মতে কলিকাতা নামের উৎপত্তিই হয়েছে কালী কথা থেকে। কলকাতা নামের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে কালী কথা। কালীক্ষেত্র নামে পরিচিত এই শহর কলকাতায় আজও রয়েছে বিভিন্ন জাগ্রত কালী, ডাকাতে কালীর গল্প। সেই দলে পিছিয়ে বারোয়ারি পুজোগুলোও।
কলকাতার পুরনো বারোয়ারি পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম উত্তর কলকাতার ফাটাকেষ্টর কালীপুজো।

ষাটের দশকে শুরু হওয়া এই পুজোর এই বছর ৬৮ তম বর্ষ। পাঁচ বন্ধু মিলে সীতারাম ঘোষ স্ট্রীটের এক বাড়িতে প্রথম শুরু করেন এই পুজো। মূল উদ্যোক্তা ছিলেন একজন কবিরাজ। এরপর পুজো বড় করে হতে থাকে রাস্তার উপর। সত্তরের দশকে স্থানীয় পানকেষ্টও যুক্ত হন এই পুজোর সঙ্গে। নকশাল আমলে রাজনৈতিক সংঘর্ষে জড়িয়ে আহত হয়ে পান কেষ্ট বেঁচে ফিরে আসে মৃত্যুর মুখ থেকে। শরীরের সেই ভয়ঙ্কর ক্ষতের দাগ থেকে তার পরিচিতি হয়ফাটা কেষ্ট নামেই। দেখুন ভিডিও

ফাটা কেষ্টর এই কালীপুজোর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। সত্তর এবং আশির দশকের টলিউড থেকে শুরু করে বলিউডের বহু বিখ্যাত অভিনেতা কলকাতায় এসেছেন এই পুজো দেখতে। বাঙালির প্রিয় উত্তম কুমার এই কালীপুজোর দিনে এখানেই সময় কাটাতেন। এছাড়াও বহু স্বনামধন্য রাজনীতিবিদও যোগ দিতেন এই পুজোয়; কিন্তু এসবই আজ ইতিহাসের স্মৃতির পাতায় লেখা জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা রণজিৎ দাঁ।

কালীপুজোর ভিড় এড়াতে পুজোর আগের দিনেই রাজারহাট এবং নিউটাউনের বাসিন্দা শিল্পা সাহা এবং দীপিতা দে, চলে এসেছেন ফাটা কেষ্টর এই পুজো দেখতে; দেশের সময়কে জানালেন বাবার মুখে এখানকার পুজোর গল্প এবং মাহাত্য শুনেই প্রথম দেখতে আসা, এরপর প্রতি বছরই আসবেন।

৬৮ বছর পার হয়ে গেলেও উত্তর কলকাতার নব যুবক সঙ্ঘের এই পুজো ওরফে ফাটা কেষ্টর পুজো আজও জেনারেশন জেডের কাছেও সমানভাবে জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে।




