দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ : বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচন কেন্দ্র ভবানীপুরে যখন জলসম্পর্ক অভিযানে গিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা, তখন কিছু লোক তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। কনভয়ের উপর হামলা করা হয় বলে বিজেপির অভিযোগ।
সূত্রের খবর, এ ঘটনার রিপোর্ট দিল্লি পৌঁছতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। মন্ত্রকের অফিসারদের তিনি বলেছেন, বিজেপি সভাপতির নিরাপত্তায় ত্রুটি হল কেন তা নিয়ে কৈফিয়ত চাইতে।
বিজেপির অভিযোগ, ব্যাপারটা শুধু গতকাল বিকেলের অনুষ্ঠান পর্যন্ত থেমে থাকেনি। আজ বৃহস্পতিবার ডায়মন্ডহারবারে রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে দলীয় সভাপতির। তার আগে দিলীপ ঘোষরা জানিয়েছেন, বুধবার রাত থেকে ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি কর্মীদের মারধর করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বেশ কিছু ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে দেওয়া হয়েছে। নাড্ডার পথ আটকানোর জন্য একশ মিটার অন্তর অন্তর স্ট্রিট কর্নার মিটিং ডাকে শাসক দল। সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতির নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন।
সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে উপর্যুপরি রিপোর্ট পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী। তাতেই উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।
কেন্দ্রের শাসক দলের একটি সূত্রের দাবি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে রাজ্য পুলিশকে ইতিমধ্যে বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে দাবি করেছেন, লিখিত নির্দেশ পাঠানো হোক রাজ্য সরকারকে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে যদি বিজেপি সভাপতির উপর কেউ চড়াও হয়, তা হলে বুঝতে হবে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা খারাপ। তা ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে কিছু লিখিত দিলে তা আগামী দিনে নির্বাচন কমিশনের কাছেও পেশ করা যাবে।
তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা অবশ্য বলছেন, বিজেপির নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলের কারণে এসব হয়ে থাকতে পারে। নাড্ডার সভা নিয়ে তাঁদের কোনও মাথাব্যাথা নেই।
এর আগে একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বভারতী সফরে এলে তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। রাজ্য বিজেপির এক নেতা এদিন বলেন, রাজনীতিতে কালো পতাকা দেখানোর চল রয়েছে। তা অন্যায় নয়। অন্যায় হল, বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মারধর করা। প্রধানমন্ত্রী সভা করতে এলে তাঁর হেলিকপ্টার নামতে না দেওয়া। সভা করার জন্য জায়গা না দেওয়া।
এদিন দিলীপবাবুও বলেছেন, ডায়মন্ডহারবারের রবীন্দ্রভবনে তাঁরা বিজেপি সভাপতির কর্মসূচি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের জমিতে তাঁদের ওই অনুষ্ঠান করতে হচ্ছে।