নবীন হাতে প্রবীণ বরণ:
অশোক মজুমদার।
“এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি।”….জীবনের চলার পথে একটা সময় আগামীর হাতে ভবিষ্যতের চাবি তুলে দেওয়াটাই রীতি। যুগ যুগ ধরে সমাজ সভ্যতা এভাবেই এগিয়েছে।
কদিন আগে মুকুল রায় তৃণমূল দলে পুনরায় ফিরলেন। সেদিনের সবথেকে সুন্দর মুহূর্ত ছিলো মুকুলদাকে অভিষেক হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে আসছে। আসলে মুকুলদার দল ছাড়ার পিছনে যুক্তি হিসেবে যেহেতু পরিবারতন্ত্র, নবপ্রজন্মের হাতে চলে গেছে দল…এসব অভিযোগই মূলত করেছিলেন, সেই জায়গায় অভিষেকেরই মুকুলদাকে স্বাগত জানানোটা অনেক ভুল ধারণার স্বপ্নভঙ্গ বলাই যায়।
যার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ করে দলের একদা সম্পদরা অন্যদলে অক্সিজেন খুঁজতে চলে গেলেন, অথচ সেই ভাইসম, কারো সন্তানসম ছেলেটি কিন্তু দলের দায়িত্ব হাতে নিয়েই প্রবীণদের সঙ্গে দেখা করে, তাদের আশীর্বাদ নিতে ছুটেছে। আসলে কথাতেই আছে, “যে যত উন্নত সে তত নত।” আপনাদের অভিযোগের সারবত্তা সেদিনও ছিলো না। আজও নেই।
অভিষেককে ছোটো থেকেই দেখছি। আমাদের চোখের সামনেই ছেলেটা বড়ো হলো। দিদির পদাঙ্ক অনুসরণ করে ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে রাজনীতির ময়দানে। এবারের ভোটের প্রচারেও অভিষেক ছিলো নিখুঁত, শানিত। ধীর, স্থির, লক্ষ্যে অবিচল। দলের দুর্দান্ত সাফল্যে আজ ওর ভূমিকা সবার মুখে মুখে।
মুকুলদার সঙ্গে এই ছবিটিই ওর বিরুদ্ধে অভিযোগের জবাব। রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য মূল্যবোধকে উঁচু তারে বাঁধতে হয়। দিদি সেজন্যই এতো সফল। আশা করবো অভিষেকও তা পারবে। ওর ভবিষ্যতের জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই। ও খুব ভালো থাকুক। ওর সাফল্য কামনা করছি।