দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ ভারতে দিনদিন বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই সংক্রমণ তার আগের রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে। এই অবস্থায় সংক্রমণ রুখতে ভ্যাকসিনই একমাত্র পথ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। জোর কদমে পৃথিবীর প্রায় সব দেশই এই ভ্যাকসিন তৈরি করার কাজ করছে। একবার এই ভ্যাকসিন তৈরি হলে তা দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি।
বুধবার রিলায়েন্সের বার্ষিক সভার বৈঠকে এই কথা বলেন নীতা আম্বানি। তিনি বলেন, “আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলছি যে দিনই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হবে, তারপরেই এই ভ্যাকসিন যাতে দেশের প্রতিটি প্রান্ত, প্রতিটি ঘর, প্রতিটি কোণায় পৌঁছয় সেই কাজে সরকারকে সাহায্য করবে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করার জন্য নিজেদের উদ্যোগে কাজ করব আমরা।”
নীতা আম্বানি আরও বলেন, ইতিমধ্যেই সরকার ও স্থানীয় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সঙ্গে জোট বেঁধে নমুনা পরীক্ষা যাতে আরও দ্রুত করা যায়, সেই কাজ শুরু করেছে রিলায়েন্স। দেশজুড়ে জিও-র ডিজিটাল পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে এই কাজ শুরু করেছে তারা। এতে নমুনা পরীক্ষা আরও দ্রুত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এমন সময়ে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন এই ঘোষণা করেছেন, যখন ভারতে মানবদেহে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের ডিরেক্টর ডক্টর বলরাম ভার্গব বলেন, “ভারত বিশ্বের ওষুধ উৎপাদক দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে। তাই এটা ভারতের নৈতিক দায়িত্ব করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া। ইতিমধ্যেই দুটি ভ্যাকসিনের মানবদেহে ট্রায়াল শুরু হয়েছে। একটি তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও অন্যটি বানিয়েছে জাইডাস ক্যাডিলা হেলথকেয়ার লিমিটেড। দুটি ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেই সাহায্য করেছে আইসিএমআর। মানবদেহে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে এই দুটি ভ্যাকসিনের।”
মঙ্গলবার বলরাম ভার্গব জানান, এই মাসে ইঁদুর ও খরগোশের উপর এই দুই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল সফলভাবে করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে পাঠানো হয়েছিল। ডিসিজিআই সেই রিপোর্ট দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপের অনুমতি দেয়। সেই পদক্ষেপই এবার শুরু হওয়ার কথা।