দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: নয়াদিল্লির ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের কারণে দু’দিনের বাংলা সফর বাতিল করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন ডুমুরজলা ময়দানে তাঁর থাকার কথা ছিল। তবে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তৃতা দেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তৃতার লাইভ হাইলাইটস:
আমি না আসতে পারার জন্য ক্ষমা চাইছি।
আগামী দিনে তৃণমূলের সরকার উপড়ে ফেলে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
কেন দলে দলে মানুষ তৃণমূল ছেড়ে আসছেন। কারণ আজকে মা-মাটি-মানুষের স্লোগান দেওয়া পার্টি তানাশাহি, তোলাবাজি, তুষ্টিকরণ চালু করেছে।
কমিউনিস্টরা যে সর্বনাশ করেছিল বাংলার তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।
বাংলার মানুষ কেন্দ্রের প্রকল্প পাননি কারণ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে, নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে শুধু রাজনীতি করবেন বলে।
বাংলায় প্রথম ক্যাবিনেটেই সিদ্ধান্ত নেব মোদীর সব প্রকল্প বাস্তবায়নের।
দিদি আপনি এক সময় দেখবেন, একা দাঁড়িয়ে আছেন।
একে একে দলের সব ভাল নেতা বিজেপিতে সামিল হচ্ছেন। আজ বাংলায় আরও একটা পরিবর্তনের ঝড় বইছে।
রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথের বাংলাকে রক্তরঞ্জিত করেছেন মমতাদিদি। বাংলাকে দুর্নীতি আর ঘুষপেটিয়াদের আঁতুড়ঘর বানিয়েছেন।
আজকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অনেক নেতা যোগ দিয়েছেন। আমি তাঁদের শুভ কামনা জানাই।
বাংলায় কর্মসংস্থান, মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে বিজেপি সরকার।
তোলাবাজি, তুষ্টিকরণের জমানা শেষ হবে।
মোদীজির নেতৃত্বে আগামী দিনে বিজেপি সরকার হবে, সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে। রবীন্দ্রনাথ আর নেতাজির বাংলাকে আবার পুরনো রূপে ফিরিয়ে দেব আমরা। গর্বের বাংলা গড়ে উঠবে।
ক্ষমতায় এলেই বাংলায় ‘আয়ুষ্মান ভারত’, শাহ:
২১-এর নির্বাচন জিতে ক্ষমতায় এসে প্রথমেই বাংলায় ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প চালু করবে বিজেপি সরকার।ডুমুরজলার মেগা সভায় ভার্চুয়াল উপস্থিতিতেই বড় ঘোষণা অমিত শাহের। স্মৃতি ইরানির সুরেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে ঝাঁঝালো আক্রমণ। শাহ নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বলেন, ‘ ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করা ছাড়া তৃণমূলের আর কোনও লক্ষ্য নেই।’
রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করলেও এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের সুর অবশ্য বাঁধা ছিল প্রতিশ্রুতিতে। তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার সমস্ত গরীব মানুষই পাঁচ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবিমা পাবেন। চিকিৎসা করানো যাবে দেশের যে কোনও হাসপাতালে।‘ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছে মমতা সরকার। উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনকে নজরে রেখে আগেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের নিজস্ব স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সমস্ত মানুষকে আনার ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যেই আবেদনকারী ৭৫ শতাংশেরও বেশি মানুষের হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। তারই পালটা এদিন শাহের ঘোষণা। বহুদিন ধরেই কেন্দ্রের এই প্রকল্প নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের পালা চলছে।