দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ডিসেম্বরের শুরুতেই ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে একটানা ক’দিন বৃষ্টি। হালকা শীতের আমেজ থাকলেও, স্বাভাবিকভাবেই বাঙালির মনে আশা জেগেছিল, আকাশ মেঘমুক্ত হতে শুরু করলেই বঙ্গে কনকনে শীতের দেখা মিলবে। বৃষ্টির কারণে কলকাতা সহ রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলায় শীত শীত ভাব দেখা গেলেও, ‘জাওয়াদ’ বিদায় নেওয়ার পরেও জাঁকিয়ে শীত না পড়ায়, বেজায় চিন্তিত অনেকেই।

কিন্তু আবহাওয়াবিদরা আশাভঙ্গ করে জানাচ্ছেন, এখনও শীত পড়ার সময়ই হয়নি!  আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, সাধারণত নভেম্বরের শেষ কিংবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে। কিন্তু এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের তুলনায় পাঁচ ডিগ্রি বেশি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপ এই দুইয়ের কারণেই রাতের তাপমাত্রা এতটা বেড়েছে।  আবহাওয়াবিদরা আরও জানাচ্ছেন, বর্তমানে নিম্নচাপটি বাংলাদেশে সরে গিয়েছে। তবে এখনও লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তাছাড়াও বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। রাজ্যে উত্তুরে হাওয়ার পথে প্রধান বাধা এটিই। তবে ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপের বাধা কাটতেই বাংলায় শীত পড়বে জাঁকিয়ে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজ্যজুড়ে তাপমাত্রার পারদ নামবে অনেকটাই। অন্যদিকে পৌষ মাস পড়তে আর মাত্র দিন কয়েকের অপেক্ষা। তবে কি পৌষের শুরুতেই বাংলায় জাঁকিয়ে শীতের প্রত্যাবর্তন? আবহাওয়া দপ্তর তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

নিম্নচাপ কাটার পরে বুধবার সকালে ঘন কুয়াশায় (Fog) ঢাকা পড়ল কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল। বিমান বন্দর ও তার আশপাশের এলাকাও এদিন ভোরে কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়।

এদিন ভোর ছ’টার পরে বাতিল হয় বেশ কয়েকটি বিমান। ভিআইপি রোড ও নিউটাউনে যান চলাচলে সমস্যা হতে থাকে। কুয়াশায় সময় দৃশ্যমানতা ছিল মাত্র ১০০ মিটার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here