দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রতিপক্ষের দুর্বল স্থান- কাল-পাত্র বুঝে আঘাত করাই রাজনীতির দস্তুর।
মঙ্গলবার রাতে শুভেন্দুর অধিকারীর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, সৌগত রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের খবর চাউর হতে সেটাই করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
অধীরবাবু বলেন, “দেখে ভাল লাগছে গোটা একটা পার্টি শুভেন্দুর পায়ে পড়ে গেছে। তার মানে তো একটাই ব্যাপার দাঁড়াল। ২৯৪ টা আসনে এক জনই প্রার্থী নন। তৃণমূলের একটাই মুখ নয়”।
শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়তে পারে বলে আন্দাজ করছিলেন রাজ্য কংগ্রেস নেতারা। বাম নেতৃত্বের অনেকের মধ্যেও সেই আশার সঞ্চার হয়েছে। এদিন রাতে উত্তর কলকাতার একটি বাড়িতে বৈঠকের পর তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় যখন সংবাদমাধ্যমে বলছেন, ‘শুভেন্দু তৃণমূলেই রয়েছেন। ও দল ছেড়ে যাবে না’। সে কথা শোনা মাত্রই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন অনেক বাম কংগ্রেস নেতা।
জবাবে অধীরবাবু বলেন, প্রথমত আমি টিভিতে দেখলাম সৌগতদা কিছু বলছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে কিছু বলতে শুনিনি। দ্বিতীয়ত, শুভেন্দু অধিকারী কোন দলে থাকবেন, কোথায় যাবেন সেটা তাঁর ব্যাপার। আমি তা নিয়ে ভাবিত নই।
লোকসভায় কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, “আমার বক্তব্য ছিল সোজা সাপ্টা। তা হল, শুভেন্দু নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গণ আন্দোলন করেছিল বলেই তৃণমূল ক্ষমতায় আসতে পেরছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। সেই স্বীকৃতি কি শুভেন্দুকে তৃণমূল দিয়েছিল? কখনও কেউ বলেছিলেন যে, শুভেন্দু তৃণমূলের নম্বর টু নেতা। বলেননি তো? তা হলে! তার মানে একার ম্যাজিকে হচ্ছে না। তৃণমূলের উপরের নেতারা ভয় পাচ্ছেন”।
অধীরবাবুর মন্তব্য নিয়ে দলীয় তরফে তৃণমূলের কেউ প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে ঘরোয়া আলোচনায় শাসক দলের এক নেতা বলেন, “বাংলায় কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। সুতরাং ওদের টিকা টিপ্পনিরও কোনও গুরুত্ব নেই।”