দেশের সময়: সুরেশচন্দ্র চৌধুরী, জ্যোতিষ গুহর পর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাণপুরুষ বলা হয় ক্লাবের প্রয়াত প্রাক্তন সচিব দীপক ওরফে পল্টু দাসকে। যিনি আধুনিক ইস্টবেঙ্গলের রূপকারও। প্রতি বছর ১৩ অগাস্ট পল্টু দাসের জন্মদিনে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে পালিত হয় স্পোর্টস-ডে বা ক্রীড়াদিবস। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সঙ্গে বেশ কিছু কর্মকাণ্ড।
ক্লাব তাঁবুতে পতাকা উত্তলনের পর স্যানিটাইজিং ট্যানেলের উদ্বোধন হল। উদ্বোধন করলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বাংলার রঞ্জি জয়ী দলের অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছিমছাম একটি অনুষ্ঠান। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বাইচুং ভুটিয়া, সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।
ক্রীড়াদিবসের মঞ্চেও ঘুরে ফিরে এল সেই আইএসএল। এই মুহুর্তে লাল-হলুদের আইএসএল খেলা কঠিন। তবু ক্লাবের প্রাক্তনী থেকে কর্তারা এখনও একটা ক্ষীণ আশায় যে, শেষ মুহূর্তে হয়তো ছক্কা মেরে ম্যাচ বের করতে পারা যাবে। আর সেই অবিশ্বাস্য কাজটা করে দেখাতে পারবেন শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার।
বাইচুং ভুটিয়া বললেন, ‘ইস্টবেঙ্গল ঠিক আইএসএলে খেলবে। একশো বছর পর এই ক্লাবই দেশের সেরা লিগ সবচেয়ে বেশিবার জয়ের কৃতিত্ব দেখাবে। ক্লাবের দুশো বছর যখন উদযাপন হবে তখন ইস্টবেঙ্গল থাকবে সেরার সেরা’। ক্লাবের আর এক ঘরের ছেলে তরুণ দে বললেন, “ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে খেলবে এবং মাথা উঁচু করেই খেলবে।’
এদিন ক্রীড়াদিবসে নেতাজি ইন্ডোরে রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি মুকুন্দপুরের একটি হোমের ১০ জন শিশুর দায়িত্ব নিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। তাদের এক বছরের রেশন দেওয়া হল ক্লাবের পক্ষ থেকে। প্রতি বছরের মতো এবারও পঞ্চম থেকে প্রথম ডিভিশন ক্লাবগুলোকে ফুটবল উপহার দেওয়া হয়।