দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃশনিবার থেকে শুরু হচ্ছে দেশজুড়ে কোভিড টিকাকরণ। তার আগে টিকা দেওয়ার কর্মসুচির রূপরেখা তৈরি করতে সোমবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গত সপ্তাহে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ও পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তৈরি কোভিশিল্ডে ছাড়পত্র দিয়েছে। ওষুধ নিয়ন্ত্রক ডিসিজিআই। তারপর থেকে এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
১৬ জানুয়ারি অর্থাৎ আগামী শনিবার থেকেই ভারতে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে বলেছেন, ‘১৬ জানুয়ারি ভারত করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঐতিহাসিক পদেক্ষপ করতে চলেছে। এ দিন থেকেই দেশ জুড়ে টিকাকরণ শুরু হবে।’ টিকায় অনুমোদন দেওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় টিকাকরণ শুরু করেছিল ব্রিটেন। চার দিন নিয়েছিল আমেরিকা। ভারতের কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জোড়া টিকায় অনুমোদন দিয়েছিল ৩ জানুয়ারি। সেই নিরিখে কিছুটা দেরিতেই টিকাকরণ শুরু হচ্ছে দেশে। শুক্রবার পুনের সেন্ট্রাল হাব থেকে দেশের ৪১টি গন্তব্যে টিকা পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল। যদিও কলকাতা-সহ সিংহভাগ শহরেই টিকা পৌঁছয়নি। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ কুমার জানিয়েছিলেন, ১৩ জানুয়ারির মধ্যে টিকা প্রয়োগ শুরু করার যাবতীয় পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রস্তুতিতে কিছুটা খামতি থাকায় আরও তিন দিন দেরিতে টিকা দেওয়া শুরু করবে কেন্দ্র।
কিন্তু করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে দেশবাসীর মনোভাব এখন, দের আয়ে দুরুস্ত আয়ে। মার্চ থেকে গোটা দেশ যে শত্রুর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে, অবশেষে তার অস্ত্র নাগরিকের হাতে পৌঁছবে। শুরুতে সুরক্ষিত করা হবে এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মীদের। মহামারীর সঙ্গে যুদ্ধে একেবারে সামনে থেকে যাঁরা লড়ছেন। এর পর টিকা দেওয়া হবে দু’কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের। মোদী জানিয়েছেন, এই তালিকায় থাকবেন সাফাইকর্মীরাও। প্রথম দফার একেবারে শেষে থাকবেন ২৭ কোটি পঞ্চাশোর্ধ্ব কো-মর্বিডিটিসম্পন্ন বয়স্ক মানুষ। ভারত তো বটেই, গোটা বিশ্বেই এই মডেলে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা বা কাজ চলছে। ইমিউনোলজি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার এবং বিপদে পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, তাদেরই ‘টার্গেট গ্রুপে’ রাখা হয়েছে। এরা সুরক্ষিত হলে বাকিরাও তুলনায় নিরাপদে থাকবেন এবং ছড়ানোর সুযোগ না-পেলে দুর্বল হতে শুরু করবে ভাইরাসও। আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যেই এই ৩০ কোটিকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।