দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আগেই বলেছিলেন, এবার বাংলায় এমন ভাবে ভোট হবে যে দিদির গুন্ডারা রাস্তায় থাকবে না।
মঙ্গলবার ভোট প্রচারে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গিয়ে অমিত শাহ বলেন, “ভয় পাবেন না। কোনও গুণ্ডার হিম্মত হবে না মানুষকে রোখার। নির্ভয়ে ভোট দিন। গ্যারান্টি দিচ্ছি, কোনও গুণ্ডা কারও গায়ে হাত দেওয়ার সাহস দেখাবে না।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। বিজেপি, বাম, কংগ্রেস—সকলেরই বক্তব্য ছিল, দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল করে রেখেছে তৃণমূল। গত কয়েক বছর ধরে সেখানে ভোট বলে কিছু হয়নি। শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ডায়মন্ড হারবারে ১৬০০ বুথের মধ্যে ৩০০ বুথে জিতে এক লক্ষের মার্জিন পেয়েছিল তৃণমূল। কেমন ভোট হয়েছিল বোঝাই যাচ্ছে।
ভোট ঘোষণার পর দেখা যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। একমাত্র এই জেলাতেই তিন দফায় ভোটগ্রহণ হবে। ১ এপ্রিল বেশ কয়েকটি আসনের ভোট রয়েছে এই জেলায়।
এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলে ‘পিসি-ভাইপো’র বিরুদ্ধে চড়া দাগে আক্রমণ শানান শাহ। তিনি বলেন, “আমফানের সময়ে মোদীজি টাকা পাঠালেন। আপনারা সেই টাকা পেলেন না। ভাইপোর বাহিনী সব লুঠ করে নিয়ে চলে গেল।”
এখানেই না থেমে অমিত শাহ বলেন, “আপনাদের কথা দিচ্ছি, বাংলায় বিজেপির সরকার হলে, এই তোলাবাজদের জায়গা হবে জেলের ভিতর। আলাদা এসআইটি গঠন করে বেছে বেছে ব্যবস্থা নেব।”
শুধু তাই নয়। শাহ এদিন বলেন, “মমতাদিদির এখন টার্গেট ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানানো। মোদীজি যখন আপনাদের বিকাশের কথা ভাবছেন তখন মমতাদিদি ভাবছেন ভাইপোকে কী ভাবে মুখ্যমন্ত্রী বানানো যায়।”
যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মাটি কী জিনিস তা অমিত শাহ ২ মে টের পেয়ে যাবেন। যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা হোক, লাভ হবে না। এই জেলায় ৩৩-০ শূন্য ব্যবধানে জিতব।