দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিজেপি নেতারাই দাবি করেছিলেন, নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করার পর পরই তৃণমূলের বেশ কয়েকজন উঁচু দরের নেতা গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন।
রবিবার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। তার চব্বিশ ঘণ্টা পর সোমবার বন্দর এলাকার কংগ্রেস নেতা রাকেশ সিংহকে বিজেপি-তে সামিল করান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, নির্বাচনের আহ্বায়ক মুকুল রায় ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
এমনিতে রাকেশ বন্দর এলাকার বাহুবলী নেতা বলে পরিচিত। বেশ কিছু ফৌজদারী মামলাও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও দিলীপ ঘোষ বিষয়টি সামলাতে বলেন, এ সব মামলা বাংলায় বিরোধী দলের রাজনীতিকদের গলার মালার মতো। তাঁর কথা শেষ হওয়ার আগেই সাংবাদিক বৈঠকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, “অপেক্ষা করুন, কাল বড় মুখ যোগ দেবেন বিজেপি-তে।”
কৈলাসের ওই মন্তব্যের পর জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বড় মুখ কে? বেছে বেছে কালই কেন তাঁকে বিজেপি-তে সামিল করানো হবে, সোমবার হল না কেন?
বিজেপি-র একটি সূত্রের বক্তব্য, মঙ্গলবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে তৃণমূল। সেই আবহে তৃণমূলের এমন একজন নেতাকে বিজেপিতে সামিল করানো হবে, যা ওদের ঘোষণাকে ফিকে করে দেবে।
প্রশ্ল উঠছে ন্তিনি কে?
রবিবার থেকে শোনা যাচ্ছিল, মঙ্গলবার বিজেপি-তে সামিল হতে পারেন ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিংহ। বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করবে না জানতে পেরেই ক্ষুব্ধ অর্জুন। তবে ভোটের আগে চলতি সময় বড়ই পিচ্ছিল। প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হয়। সোমবার দুপুরে বারাকপুরের বর্তমান তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী ও অর্জুনকে নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মমতা। তার পর থেকে অর্জুন অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
তবে গেরুয়া শিবিরের দাবি, অর্জুন একা নন, তালিকায় অনেকে রয়েছেন। এমনকী তৃণমূলের বর্তমান কোনও সাংসদও যোগ দিতে পারেন বিজেপি-তে। আর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই সেই রহস্য উন্মোচন হবে৷