দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ : মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও প্রায় সকলকেই পাশ করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ১০০ শতাংশ পাশের হার ঘোষণা করা হল।
সোমবার দুপুরে শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মাননীয় রাজ্য সরকারের পরামর্শে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মহুয়া দাসের বক্তব্য, এবারের পরীক্ষার রেজাল্ট ঘোষণার পরে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল। বেশ কিছু এলাকায় বিক্ষোভ অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এই অসন্তোষের দায় নিতে চায়নি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মহুয়া দেবী জানিয়েছেন, গত বছর স্কুলগুলিকে বলা হয়েছিল একাদশ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল সংসদকে জানিয়ে দিতে। কিন্তু অনেক স্কুল তা জানায়নি। পরের বছর ১৮ থেকে ২৮ জুন এই দশ দিন স্কুলগুলিকে সময় দেওয়া হয়। তখনও দেখা যায় বেশ কিছু স্কুল সংসদে রিপোর্ট পাঠায়নি।
কিছু স্কুলের তথ্য অসম্পূর্ণ ছিল বলেও জানিয়েছেন মহুয়া। তার ফলেই ৯৭ শতাংশ পড়ুয়াকে পাশ করানো গিয়েছিল। ১৮ হাজার ২০০-র মতো পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হয়েছিল। অর্থাৎ সংসদ নয়, স্কুলের ত্রুটিতেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তাদের ত্রুটি সংশোধনের সুযোগও দেওয়া হয়েছিল।
মহুয়া দাস জানান, স্কুলগুলিকে বলা হয়েছিল তারা যেন কোনও পড়ুয়াকে মূল্যায়নে অকৃতকার্য না করে। পাশ করার ন্যূনতম নম্বর যেন দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক স্কুল তা করেনি। এমনকি কোনও কোনও স্কুল শূন্যও দিয়েছে। তাই এই জটিলতা।
মাননীয় সরকারের পরামর্শেই সকল পরীক্ষার্থীকে পাশ করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা যেহেতু হয়নি, তাই কাউকে ফেল করানো উচিত হবে না।
তবে পুরোপুরি ১০০ শতাংশ পরীক্ষার্থীকে পাশ করানো যাচ্ছে না। কারণ এক্ষেত্রে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিছু স্কুল থেকে পড়ুয়াদের নামই নথিভুক্ত করা হয়নি উচ্চ মাধ্যমকের জন্য। অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন করানো হয়নি। তাই তাদের পাশ করানো সম্ভব নয়।