দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লড়াইটা একার নয়। অনেকের। সম্মিলিতভাবে লড়াই করলেই হবে সঙ্কট মুক্তি। এ আঁধার ঘুচবে। ইতিহাস সাক্ষী থাকবে কীভাবে বিশ্বের সব সম্প্রদায়কে একসূত্রে বেঁধে বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছি আমরা, জটিল সময়ে অনুপ্রেরণার বার্তা দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস অ্যাডহানম ঘেব্রেইসাস।
টুইটার বার্তায় তিনি সকলকে একসঙ্গে এই মহামারীর মোকাবিলা করার বার্তা দিয়েছেন। ঘেব্রেইসাস বলেছেন, বিশ্বের সব দেশের উচিত একসঙ্গে মিলে এমন এক পরিকল্পনা নেওয়া যাতে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া থেকে রোখা যায়। অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল বা পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর পাশেও দাঁড়াতে হবে সকলকে। রাজনীতি ভুলে মানবিকতার বার্তা দিতে হবে। তাহলেই এই মৃত্যুমিছিল সার্বিকভাবে রোখা সম্ভব হবে।
"Our message to all countries is clear: heed this warning now, back this plan politically & financially today & we can save lives & slow the spread of the #COVID19 pandemic"-@DrTedros #coronavirus
— World Health Organization (WHO) (@WHO) March 25, 2020
করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে বিশ্বজোড়া মহামারী ঘোষণা করেছে হু। গোটা বিশ্বে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা চার লক্ষের বেশি। মৃত্যু ১৯ হাজার ছুঁয়েছে। হু কর্তা বলেছেন, গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীমহল, গবেষকদের একসঙ্গে এই সংক্রমণ থেকে মুক্তির উপায় আলোচনা করতে হবে। ইতিমধ্যেই হু-এর তরফে বিশ্বের নামী বিজ্ঞানী, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফার্মগুলোকে এই মহামারীর ড্রাগ, ভ্যাকসিন ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি বার করার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে। যেসব দেশে সংক্রমণ লাগামছাড়া হয়ে গেছে সেইসব দেশকে আগে বাঁচাতে হবে। তার জন্য এখন থেকেই একসঙ্গে লড়াই করা দরকার। হু কর্তা বলেছেন, বিশ্বের বড় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের ফান্ড জড়ো করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে নতুন অ্যাকশন প্ল্যান নিতে হবে, কীভাবে সংক্রমণ আটকানো যায় সেজন্য সচেষ্ট হতে হবে সকলকেই।
"6⃣ we need to protect the health and humanitarian supply chain so that our frontline workers are protected and able to travel freely as they give lifesaving care"-@DrTedros #COVID19 #coronavirus
— World Health Organization (WHO) (@WHO) March 25, 2020
কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে দরকার ‘পরীক্ষা, পরীক্ষা, পরীক্ষা’, আগেই বলেছিলেন হু কর্তা ঘেব্রেইসাস। জেনেভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘‘অন্ধভাবে শত্রুর বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা যায় না। সংক্রমণ সন্দেহ হলেই পরীক্ষা জরুরি। তার জন্য নিজেকেও সচেতন হতে হবে। এই সংক্রমণ রোখার একটাই দাওয়াই শুরুতেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা।’’ ঘেব্রেইসাস বলেন, টেস্ট ছাড়া কোনওদিনই ধরা পড়বে না ভাইরাস। শুধুমাত্র সংক্রমণ সন্দেহ হলেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে ফেলে রাখার মানে নেই। সামান্য উপসর্গ দেখা গেলেও সঙ্গে সঙ্গেই রক্ত, থুতু, লালা বা দেহরসের নমুনা ল্যাবোরেটরিতে টেস্ট করা দরকার। তাহলেই জানা যাবে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে কিনা এবং আক্রান্ত ঠিক কোন স্টেজে রয়েছেন। চিকিৎসাও হবে ঠিক সেই মতোই। সংক্রমণ সারা শরীরে ছড়াবার আগেই তাকে কিছুটা হলেও রুখে দেওয়া যাবে। হু কর্তা এদিন আবারও বলেছেন, সংক্রমণ রুখতে গেলে ল্যাব-টেস্ট যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি মানুষের সচেতনতা ও সতর্কতা।