দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আন্দোলনের নামে সম্পত্তি নষ্ট যারা করছে, তাদের গুলি করে মারা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার দিলীপের ওই বক্তব্যের বিরোধিতা করে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এদিন বিকেলে আরও একধাপ এগিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। নানুরের সভা শেষে কেষ্ট বাবু বলেন, “আগে দিলীপ ঘোষকে গুলি করে মারা উচিত।”

এদিন এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে নানুরে সভা ছিল তৃণমূলের। সেখানে ভাষণ দিতে গিয়েছিলেন অনুব্রত। সাংবাদিকরা দিলীপ ঘোষ নিয়ে প্রশ্ন করতেই স্বভাবসিদ্ধা ঢঙে জবাব দিয়ে দেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত আগে দিলীপ ঘোষকে গুলি করে মেরে দেওয়া। যদি কেউ সম্পঋ নষ্ট করে থাকে, তাহলে সেটা দিলীপ ঘোষ।”

রবিবার নদিয়ায় একটি জনসভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের নামে গত ডিসেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়। বিশেষ করে ট্রেন পোড়ানো হয়, প্ল্যাটফর্মে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় “লাঠিচার্জের ও গুলি করার নির্দেশ” না দেওয়ার জন্যই তাঁকে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। এখানেই থামেননি দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “এসব কি তাদের বাপের সম্পত্তি? করদাতাদের টাকায় তৈরি এইসব সরকারি সম্পত্তি তারা নষ্ট করে কী ভাবে!” তিনি বলেন, “এইসব দেশবিরোধীদের উপর গুলি চালিয়ে ঠিক কাজই করেছে উত্তরপ্রদেশ, অসম ও কর্নাটক সরকার।”

দিলীপের এই মন্তব্য নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সরাসরি দিলীপ ঘোষকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেন। অনেকের মতে, নিজের দলের সাংসদই যদি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বলেন, অনুব্রত তো বলবেনই।

লোকসভা ভোটের পর কিছুটা আড়ালেই চলে গিয়েছিলেন অনুব্রত। কিন্তু তিনটি উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পর থেকেই আবার ফর্মে ফিরতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত প্রিয় এই সংগঠক। জেএনইউয়ে হামলা নিয়েও দু’দিন আগে বলেছিলেন, “ওখানে মুখোশ পরে মেরেছে, এখানে হনু টুপি পরে বিজেপি মারা হবে। বেধড়ক্কা মার হবে। ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়বে না।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here