দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আগের সপ্তাহের বুধবার নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা করার পরে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিন হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন তিনি। তার পরে সোমবার থেকেই হুইলচেয়ারে ভোটের প্রচার শুরু করেছেন তিনি। আজ, বৃহস্পতিবার পৌঁছান গড়বেতায়।
প্রধানমন্ত্রী যখন পুরুলিয়ার ভাঙড়ার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করছেন, তখনই গড়বেতার জনসভা থেকে ফের গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলনেত্রী। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে পরপর তিনটি সভা রয়েছে তৃণমূলনেত্রীর। প্রথমে গড়বেতায় জনসভা। এরপর তিনি জনসভা করবেন কেশিয়াড়ির ঔরঙ্গাবাদ সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে খড়্গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কলাইকুণ্ডায় সভা করবেন মমতা।
গড়বেতায় সভায় শুরুতেই বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘দুঃসময়ে টিকি দেখতে পাওয়া যায় না বিজেপির। ওরা একটা সর্বনাশা রাজনৈতিক দল। বাইরে থেকে বাস–ট্রেনে করে লোক এনে যদি ভয় দেখায় বিজেপি, রুখে দাঁড়াবেন। নন্দীগ্রামে কৃষি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করছে। ওঁদের বিরুদ্ধে যদি মামলা হয়, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেন মামলা হবে না?’ এরপরই মমতার সংযোজন, ‘ভোট এলেই ক্যাশ নিয়ে বেরিয়ে পড়ে বিজেপি। হাজার হাজার নেতা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাইরে থেকে বিমানের পর বিমানে চেপে আসছেন। বিমানের পর বিমান ভোট লুটের চেষ্টা করছেন। এলেই হাতা–খুন্তি নিয়ে তেড়ে যাবেন। অন্য সময় বিজেপি মিথ্যে কথার গ্যাস বেলুন। আর ভোটের সময় ক্যাশ বেলুন।’ মমতার কথায়, সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপিতে। জজ্ঞালের দল বিজেপি। আমফানের সময় কোথায় ছিল ওরা। কোথায় ছিলেন নরেন্দ্র মোদী
তৃণমূলের উন্নয়ন নিয়েও কথা বলেছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘বাংলায় ৪০ শতাংশ দারিদ্র কমেছে।’ ইস্তেহারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মমতা বলেন, ‘দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠলে ১০ হাজার টাকা অথবা ট্যাব দেওয়া হবে। ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান করব আমরা। ক্ষমতায় এলে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে বছরে ১০ হাজার টাকা করে মিলবে। আরও ২৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দেব দরিদ্র মানুষকে। সব বিধবারা পেনশন পাবেন। আমাদের সরকার থাকলে বিনা পয়সায় রেশন পাবেন আপনারা। ভোট মিটে যাওয়ার পর বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেব। আমরা দুয়ারে সরকার। দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেব।’