দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এই বাংলাদেশ লালন শাহ, রবীন্দ্রনাথ, কাজি নজরুল, জীবনানন্দের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ শাহজালাল, শাহ পরাণ, শাহ মকদম, খানজাহান আলির বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ শেখ মুজিব এবং ১৬ কোটি বাঙালির বাংলাদেশ।’
বিজয় দিবসে মৌলবাদীদের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাক সেনা। পাকিস্তান ভেঙে জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ। তারপর থেকেই এই দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করছে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই দেশ সবার জন্য। এখানে ধর্মের নামে বিভাজন–বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে দেব না।
১৯৭২ সালের দেশের জাতীয় জনক বলেছিলেন, ধর্মকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু ওই পরাজিত শক্তির সমর্থকরা আজও দেশকে ৫০ বছরে পিছনে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভক্ত হলেও ধর্মান্ধ নন। ধর্মকে রাজনীতির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। প্রত্যেকেরই নিজের নিজের ধর্ম পালন করার অধিকার আছে। মুক্তিযুদ্ধে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সহ সব ধর্মের মানুষই যোগ দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে যে ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা ছিল, সেটা যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, তা আমাদের দেখতে হবে।’
বৃহস্পতিবারই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন হাসিনা। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে জোর দেওয়া হতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কথা হতে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য আর যোগাযোগ নিয়ে। ’৬৫ সালের যুদ্ধের সময়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া চিলাহাতি–হলদিবাড়ি রেল প্রকল্প নিয়েও কথা হতে পারে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে।