
দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ফুটবল কি আবারও তার স্বভূমিতে ফিরতে চলেছে?মনে হয় তাই, কারণ ইংল্যান্ড ইউরো কাপের ফাইনালে উঠল। তাও প্রায় ৫৫ বছর পরে কোনও মেগা টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলবে তারা। সেই কবে ববি মুররা পেরেছিলেন, এবার সেই গরিমা স্পর্শ করার সামনে হ্যারি কেনরা।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল।

টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ সমতা থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে হ্যারি কেনের পেনাল্টি গোলে জয় নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশরা। ১২ জুলাই ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ইতালি।
সেই ১৯৬৬ সালে শেষবার কোনও বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড, সেবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। কিন্তু এরপর আর সেমিফাইনালে উঠেও খেতাব অর্জন করা হয়নি। দু’বার তারা ইউরো ও একই সংখ্যকবার বিশ্বকাপের সেমিতে উঠলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া হয়নি।

ঘরের মাঠে দাপট দেখিয়েই খেলেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু ডেনমার্কের রক্ষণ আর গোলরক্ষক কেসপার স্মাইকেল বারবারই প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেশিরভাগ সময়।

ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটে ইংল্যান্ড দুটি সুযোগ হারায়। তার মধ্যে ড্যামসগার্ডও ছিলেন, আর সেই ড্যামসগার্ডই ড্যানিশদের মুখে হাসি ফোটান ৩০ মিনিটে। বক্সের অনেক বাইরে থেকে চোখ ধাঁধানো এক বাঁকানো ফ্রি-কিক থেকে গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাত লাগাতে পারলেও আটকাতে পারেননি বল (১-০)। চলতি ইউরোয় প্রথম গোল খেলেন পিকফোর্ড, তিনি টপকে গেলেন গর্ডন ব্যাঙ্কসকে। গর্ডন ৭২০ মিনিট গোল না খেয়েছিলেন, পিকফোর্ড গোল হজম করলেন ৭২১ মিনিটে। ৩৯ মিনিটের মাথায় সাইমন জায়েরের আত্মঘাতী গোলে ইংল্যান্ড ম্যাচে ১-১ সমতা ফেরায়।

ইউরোয় এর আগে আর কোনও ড্যানিশ ফুটবলার আত্মঘাতী গোল করেননি। চলতি ইউরোয় এই নিয়ে মোট ১১টি আত্মঘাতী গোল হয়েছে। এর আগে সব ইউরো মিলিয়ে নয়টি সেমসাইড গোল হয়।

৩৮ মিনিটে হ্যারি কেনের বড় পাস থেকে রহিম স্টার্লিংয়ের নিশ্চিত গোলের সুযোগ আটকে দেন ডেনমার্ক গোলরক্ষক কেসপার স্মাইকেল। কিন্তু পরের মিনিটেই একই রকম আক্রমণ থেকে গোল আর আটকাতে পারেননি তিনি।

ভার চেক করে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ড্যানিশ গোলরক্ষক স্মাইকেল সেই পরীক্ষাতেও উৎড়ে যাচ্ছিলেন প্রায়। হ্যারি কেনের শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে দিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু মুহূর্তেই ফিরতি বল পেয়ে বাঁ দিক দিয়ে জালে বল জড়ান কেনই।
