দেশের সময়, হাবরা: ঘড়ির কাঁটায় তখন আটটা ছুঁইছুঁই। হাবড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউজ মোড়ে তখন দলের কর্মীরা উপস্থিত। আচমকাই হুডখোলা গাড়িতে হাজির হাবড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
সামনেই ভোট তাই হুডখোলা গাড়িতে আবার কখনো বা পায়ে হেঁটে দলীয় কর্মীকে সঙ্গে নিয়েই প্রচারের কাজ সারলেন হাবড়ার তৃণমূল প্রার্থী। কারোর হাতে শঙ্খ, আবার কারোর হাতে চন্দন ও ফুলের মালা। এলাকার প্রিয় মানুষকে বরণ করার জন্য আট থেকে আশি সকলেই উজ্জীবিত হয়ে তাদের প্রিয় মানুষকে বরণ করতে এগিয়ে এলেন। প্রচারে বের হয়ে কারোর সাথে সেলফি, আবার কারও সঙ্গে হাত মেলানোর আবদার ফেলতে পারেন নি।
কখনোবা ছোট বাচ্চাকে কোলে তুলে নিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে এইভাবেই হাবড়ার ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারের কাজ সারলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রচারের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘হাবড়াকে আমি নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসি। গত দশ বছরে এলাকার মানুষের প্রচুর ভালোবাসা আমি পেয়েছি। এলাকায় যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের হস্তক্ষেপে উন্নয়নের কাজ করেছি, তাতে মানুষের জন সমর্থন আমার সঙ্গে রয়েছে।
মানুষের আশীর্বাদে আমি জিতবোই। আমার এখনো এলাকায় অনেক উন্নয়নের কাজ বাকি আছে। আগামীদিন আমার ইচ্ছে, স্বপ্নের হাবড়া আমি বানাবোই বানাবো।’ ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পৌড়া বাসন্তী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের এলাকায় গত দশ বছরে ঢেলে উন্নয়নের কাজ করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
রাস্তাঘাট কি ছিল আগে। আর এখন এলাকায় সব রাস্তাঘাট পাকা হয়েছে। তাই আমাদের পাড়ায় তিনি প্রচারে এসেছেন এটা জানতে পেরে তাঁর কপালে জয়ের টিকা পরিয়ে দিলাম।’ ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিল্পা বসু, মনিকা বিশ্বাস, মৌসুমী দাসদের কথায়, ‘দশ বছর আগে আমরা মহিলারা সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে বের হতে সাহস পেতাম না। কিন্তু এখন রাত দশটার পরেও বাড়ির বাইরে বের হই।
আমাদেরকে পাহারা দেন তিনি।’ ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাবু দাস, সৈকত প্রামানিক, নন্দন মিত্ররা বলেন, ‘আমরা কোন রাজনীতি করি না। কিন্তু আমরা যখন যে কাজের জন্য তাঁর কাছে গিয়েছি, তাঁর কাছ থেকে সব ধরনের সাহায্য পেয়েছি। গতবার ভোটের আগে উনি যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বাস্তবের সঙ্গে তা মিলে যাচ্ছে। সারা বছর ধরে সপ্তাহে ৬ দিনই তাঁকে আমরা হাবড়ায় দেখি।’ ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কার্তিক হালদার, সঞ্জীত মন্ডলেরা বলেন, ‘যখন ডাকি আমরা তখনই বালুদাকে কাছে পাই। করোনা ও আমফানের সময় নিজের জীবন বিপন্ন করে তিনি যেভাবে আমাদের উপকার করেছেন, সত্যি তা প্রশংসনীয়। আগে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, খুনের ঘটনা প্রায়ই হতো। কিন্তু বালুদা আসার পর ওইসব এখন অতীত। আমাদেরকে নিরাপত্তা দিয়েছেন তিনি।’