শুরু হয়ে গেল দিদি-মোদীর সম্মুখ সমর,সিবিআইয়ের হেনস্তার বিরুদ্ধে ধর্নায় মুখ্যমন্ত্রী

0
822
দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রবিবারের সন্ধ্যায় রাজ্যে তৈরি হল অভুতপূর্ব পরিস্থিতি। একদিকে সিবিআই, আরেকদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্য সরকার। বিরোধী দলনেত্রী থাকাকালীন যেভাবে ধর্নায় বসতেন, এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সংবিধানকে ধ্বংস করার অভিযোগ তুলে ফের একবার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন বিনা ওয়ারেন্টেই পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বাড়িতে রবিবার সন্ধ্যায় হাজির হয়েছিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিস আধিকারিকরা। এই নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ঝামেলা হয় পুলিস এবং সিবিআই আধিকারিকদের মধ্যে। শেষপর্যন্ত তাঁদের জেরা করতে না দিয়ে শেক্সপিয়ার সরণী থানায় নিয়ে যায় পুলিস। এরপরই পুলিস কমিশনারের লাউডন স্ট্রিটের বাড়িতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তিনি। ছিলেন রাজ্য পুলিসের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এরপর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই জানান, রাজ্যের বিরোধী দলনেত্রী হিসেবে শাসকদলের অত্যাচারে তিনি যেটা করতেন, সংবিধানকে বাঁচাতেও এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌বাংলাকে ঘিরে অত্যাচার করছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। ২০১৯–এ ক্ষমতায় আসবে না জেনেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। চিটফান্ডের তদন্তের নাম করে প্রত্যেক জায়গায় জোর করে করে ঢুকছে কেন্দ্র। বাংলার ক্ষতি করার চেষ্টা চলছে। আমাদের কাছে খবর আছে ১৯ তারিখেই আমাদের ব্রিগেডের সভার দিন সিবিআই আধিকারিকদের মোদী বলেছেন কুছ তো করো!‌ আর কাল মোদীর হুমকির পরই সিবিআই হানা। এবার মানুষ কাকে ভোট দেবে তাঁরাই ঠিক করুক। সারদা কাণ্ড সামনে আসার পর আমরাই চিটফান্ড মালিককে গ্রেপ্তার করি। এভাবে গায়ের জোরে ক্ষমতায় আসা যায় না।
দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন আসলেই সিবিআই–কে ব্যবহার করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই আমার বাড়িতে গিয়ে আপ্ত–সহায়ককে ডেকে জেরা করেছে। সাহারাও তো স্পনসর করেছে। তাঁরা ভারতীয় ক্রিকেট টিম থেকে শুরু করে ফুটবল টিমকে। নরেন্দ্র মোদীকেও স্পনসর করেছে। মোদীকে কী আটক করা হয়েছে?‌ আসলে এই কাজ মোদীর নির্দেশে করিয়েছেন ডোভাল। যাঁকে পারছে তাঁকে ডেকে হেনস্থা করছে সিবিআই। প্রত্যেকটি এজেন্সিকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু এই অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না। পুলিস কমিশনারের মতো একজন পদাধীকারীর বাড়িতে বিনা ওয়ারেন্টে গিয়ে ‘‌সিক্রেট অপারেশন’‌ করছেন ওঁরা!‌ কোনও কাগজ ছিল না সঙ্গে। গোটা দেশে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। দেশের সংবিধান আজ বিপন্ন। এই জন্যই আমি আজ থেকে ধর্নায় বসব।’‌ তবে আগামিকাল বিধানসভায় বাজেট পেশ। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাজেট পেশ হবে। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না মঞ্চের পাশে বিশেষ ঘরেই ক্যাবিনেট মিটিং হবে। তারপরই বিধানসভায় বাজেট পেশ করা হবে। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই নিজাম প্যালেস থেকে সরে যায় পুলিস। পাশাপাশি শেক্সপিয়ার সরণী থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় সিবিআই আধিকারিকদের। কিছুক্ষণ পরই আবার সেখানে আসেন পুলিস কমিশনার রাজীব কুমার।

  • রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় মধ্য কলকাতার রাজপথে অভূতপূর্ব ও নাটকীয় ভাবে যা হল, তাকে সাংবিধানিক সংকট বলে মন্তব্য করছিলেন অনেকে। আবার দেশকে সাংবিধানিক সংকট থেকে রক্ষা করার জন্য এ দিন রাত থেকেই কলকাতায় ধর্ণায় বসে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা ভাল, আপাতত, এই মুহূর্ত থেকে তাঁর প্রশাসনিক ভূমিকার তুলনায় বড় হয়ে উঠল রাজনৈতিক ভূমিকা। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিরোধী নেত্রী মমতা। এবং সাংবাদিক বৈঠক করে সেই বিরোধী নেত্রী জানালেন,আমি সংবিধান বাঁচাতে ধর্ণায় বসতে চলেছি। দেশে জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গব্বরি কায়দায় সব কব্জা করতে চাইছে। তাই এই ধর্ণায়। এই ধর্ণা মানে সত্যাগ্রহ।

    এ দিন সন্ধ্যায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল সিবিআইয়ের টিম। প্রথমে তাঁদের ঢুকতে বাধা দেয় কলকাতা পুলিশ। পরে সিবিআইয়ের অফিসারদেরই টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় শেক্সপিয়ার সরণি থানায়। যা সংবাদমাধ্যমের টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এবং যে ছবি দেখার পর সর্বভারতীয় রাজনীতিতে অনেকেই বলতে শুরু করেন, বাংলায় সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে।ওই ঘটনার পর পরই লাউডন স্ট্রিটে পুলিশ কমিশনারের সরকারি বাসভবনে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পৌঁছন রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ করপুরকায়স্থ এবং ডিজি বীরেন্দ্র। তার পর রাজীব কুমারের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে।

কী ভাবে সেই সংকট তৈরি হয়েছে, সে ব্যাপারে মমতার ব্যাখ্যা অন্য। তিনি বলেন, “বাংলার উপর নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ,-এই দুই পাণ্ডা মিলে অত্যাচার চালাচ্ছে। কোনও রকম সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়া সিবিআই কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিক্রেট অপারেশনে এসেছিল। যিনি কয়েক কোটি মানুষের নিরাপত্তা দেন, তাঁর নিরাপত্তা নিয়েই সংকট তৈরি করে দিতে চাইছে ওঁরা!” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কী সাহস! কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিক্রেট অপারেশন চালাবে! আমার ফোর্সকে প্রোটেকশন দেওয়া আমার সরকারি দায়িত্ব।”
“বাংলার উপর নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ,-এই দুই পাণ্ডা মিলে অত্যাচার চালাচ্ছে। কোনও রকম সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়া সিবিআই কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিক্রেট অপারেশনে এসেছিল। যিনি কয়েক কোটি মানুষের নিরাপত্তা দেন, তাঁর নিরাপত্তা নিয়েই সংকট তৈরি করে দিতে চাইছে ওঁরা!” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কী সাহস! কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিক্রেট অপারেশন চালাবে! আমার ফোর্সকে প্রোটেকশন দেওয়া আমার সরকারি দায়িত্ব।”রাতে শেকসপিয়ার সরণী থানা থেকে বেরোনোর পরে সিবিআইয়ের এক আধিকারিক অবশ্য দাবি করেন, তাঁদের কাছে সব কাগজ ছিল। কিন্তু পুলিশ তা দেখতে রাজি হয়নি।শনিবার সন্ধ্যায় সিবিআই সূত্রকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছিল, চিটফান্ড মামলায় রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। তা চাউর হতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিজেপি সর্বোচ্চ স্তরের নেতারা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে নেমে পড়েছেন। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় আর মুখে আগল রাখেননি তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, সিবিআইকে দিয়ে বাংলাকে কব্জা করতে চাইছে বিজেপি। রাজনৈতিক ভাবে পেরে উঠছে না, তাই সিবিআইকে হাতিয়ার করেছে। এবং শনিবার প্রধানমন্ত্রী বাংলায় সভা করে দিল্লি ফেরার পর থেকেই তা শুরু হয়েছে।গোটা ব্যাপারটাই যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র তা বোঝাতে মমতা বলেন, নরেন্দ্র মোদীকে এ ব্যাপারে সব বুদ্ধি দিচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সিবিআই তাঁর কথাতেই চলছে। আসলে তৃণমূল সারা দেশের বিরোধী নেতাদের নিয়ে ব্রিগেডে সভা করার পরই ভয় পেয়ে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। এবং সেদিনই বাংলা থেকে সব সিবিআই অফিসারকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়ে বলা হয়েছে, কুছ তো করো, কুছ তো করো। সব মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র মোতাবেক সবটা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন হল, কলকাতা পুলিশ কি সিবিআইয়ের অফিসারদের ওভাবে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে থানায় আটক করতে পারে? বা যে ভাবে সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টরের বাড়ির সামনে কলকাতা পুলিশ পৌঁছে গেল এবং সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের পূর্বাঞ্চলীয় দফতর পুলিশ ঘিরে ফেলল, তা কতটা যুক্তিষুক্ত? সে প্রসঙ্গে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলেননি।মুখ্যমন্ত্রী জানান, কাল সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ হবে। কিন্তু তিনি তখন ধর্ণা মঞ্চেই থাকবেন। ধর্ণা মঞ্চের পাশে একটা অস্থায়ী ঘর করে সেখানেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাজেট প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হবে। তা ছাড়া সোমবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে পশ্চিমবঙ্গ কিষাণ ও ক্ষেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্মেলন রয়েছে। ধর্ণা মঞ্চে বসে ফোনেই ওই সম্মেলনের জন্য বক্তৃতা দেবেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রী জানান, কাল সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ হবে। কিন্তু তিনি তখন ধর্ণা মঞ্চেই থাকবেন। ধর্ণা মঞ্চের পাশে একটা অস্থায়ী ঘর করে সেখানেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাজেট প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হবে। তা ছাড়া সোমবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে পশ্চিমবঙ্গ কিষাণ ও ক্ষেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্মেলন রয়েছে। ধর্ণা মঞ্চে বসে ফোনেই ওই সম্মেলনের জন্য বক্তৃতা দেবেন তিনি।”ধর্ণায় যাওয়ার আগে যা বলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী”

বাংলায় ক্যু করার চেষ্টা করছেন নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহ।

  • উনিশ তারিখের ব্রিগেডের সময় থেকেই সিবিআই অফিসারদের বলা হচ্ছে ‘কুছ তো করো’!

  • আপনারা শুনেছেন মোদীর শনিবারের বক্তৃতার ভাষা, সব সৌজন্য ভেঙে দিয়েছেন।

  • গায়ের জোরে ওরা যা করছে, জরুরি অবস্থার চেয়েও ভয়াবহ!

  • গত কয়েক বছরে যখনই ভোট আসে চিটফান্ডের নাম করে যেখানে হচ্ছে ঢুকে যায়।

  • সব খবর রাখি, ডোভাল সব ইনস্ট্রাকশন দিচ্ছেন, সব করাচ্ছেন।

  • রাজনৈতিক ভাবে পারছে না বলে তৃণমূলকে হেয় করার চেষ্টা করছে।

  • রাজীব কুমার চিটফান্ডের সঙ্গে যুক্ত, প্রমাণ করুক।

  • আমার ফোর্সকে প্রোটেকশন দেওয়া আমার কর্তব্য।

  • সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়া বাড়ি চলে আসবে, এত সাহস! আজ আমার বাড়ি, কাল আপনার বাড়ি চলে যাবে।

  • জনগণের থাপ্পড় খেয়েছে কখনও? গণতন্ত্রের থাপ্পড়?

  • আমার খুব দুঃখ হচ্ছে, আমাকে পছন্দ না করতে পারে, তবে এ ভাবে ফোর্সের উপর আঘাত? এমার্জেন্সির চেয়েও খারাপ অবস্থা।

  • মিডিয়াকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে, গভর্নর হাউস বিজেপি অফিস হয়ে গেছে।

  • এই কনস্পিরেসি মানা যায় না। গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার জন্য ধর্ণায় বসছি। এই ধর্ণা সত্যাগ্রহ।

  • কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআইয়ের টিম পৌঁছে যাওয়াকে সাংবিধানিক অভ্যুত্থানের সঙ্গে তুলনা করল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সঙ্গে সিবিআইয়ের অফিসারদের কলকাতা পুলিশ এক প্রকার বলপ্রয়োগ করে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরে কমিশনারের বাড়ি পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। যার বার্তা সম্ভবত একটাই যে রাজীব কুমারের পাশে সর্বশক্তি দিয়ে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী।শনিবার রাতে সিবিআই সূত্রকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছিল, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিটফান্ড কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে সিবিআই। সেই খবর চাউর হতেই রবিবার সকালে টুুইট করে রাজীব কুমারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিশ্বের অন্যতম সেরা অফিসার। বিজেপির সর্বোচ্চ স্তরের নেতারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। কিন্তু এর পর এ দিন সন্ধ্যায় রাজীব কুমারের বাড়ির বাইরে পৌঁছে যান ডেপুটি সুুপারিন্টেন্ডেন্ট তথাগত বর্ধনের নেতৃত্বে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। কিন্তু তাঁদের বাধা দেয় কলকাতা পুলিশ। পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনেই সিবিআই গোয়েন্দাদের টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তোলেন কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল-অফিসাররা। সিবিআই গোয়েন্দাদের নিয়ে যাওয়া হয় শেক্সপিয়র সরণি থানায়।এর পর পরই লাউডন স্ট্রিটে রাজীব কুমারের সরকারি বাসভবনে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পৌঁছন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র, এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মা। পরে সেখানে পৌঁছন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও।ও দিকে পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা পৌঁছোনোর পর তৃণমূলের প্রধান মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, “বিজেপি যেন সাংবিধানিক অভ্যুত্থান ঘটাতে চাইছে। সিবিআইয়ের চল্লিশ জন অফিসার কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়ি ঘিরে ফেলেছে। কাল সংসদে এই বিষয়টি উত্থাপন করব। মোদীকে যেতেই হবে।”সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশ। রবিবাসরীয় সন্ধ্যেবেলা মহানগরের রাজপথে যেন যুদ্ধের পরিস্থিতি। কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের লাউডন স্ট্রিটের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ৪০ জনের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল। নেতৃত্বে ছিলেন ডিএসপি সিবিআই তথাগত বর্ধন। সিপি-র বাড়ির সামনে থেকে সিবিআই আধিকারিকদের টেনে-হিঁচড়ে শেক্সপিয়র সরণি থানায় তুলে নিয়ে গেল কলকাতা পুলিশ। যা কার্যত নজিরবিহীন।যে ভাবে অপরাধীদের গোপন ডেরায় হানা দিয়ে দাগি আসামিদের গর্দান ধরে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ঠিক একই কায়দায় লাউডন স্ট্রিট থেকে সিবিআই আধিকারিকদের তোলে কলকাতা পুলিশ। রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে থেকে প্রথমে সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল যায় পার্কস্ট্রিট থানায়। কিন্তু পরে জানতে পারে, সিপি-র বাড়ি শেক্সপিয়র থানার অধীনে পড়ে। সেখান থেকেই সিবিআই-এর ওই দলটি পৌঁছে যায় শেক্সপিয়র সরণি থানায়। তাঁরা ভিতরে ঢোকার পর দীর্ঘক্ষণ পরেও বাইরে না আসায় সন্দেহ জাগে অনেকেরই। এরপরই সন্ধে সাতটা নাগাদ লাউডন স্ট্রিট থেকে বাকি আধিকারিকদের তুলে নেয় কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী। বাদ দেওয়া হয়নি ডিএসপি সিবিআই তথাগত বর্ধনকেও। কলার ধরে সিবিআই অফিসারদের গাড়িতে তোলে পুলিশ।যে ভাবে অপরাধীদের গোপন ডেরায় হানা দিয়ে দাগি আসামিদের গর্দান ধরে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ঠিক একই কায়দায় লাউডন স্ট্রিট থেকে সিবিআই আধিকারিকদের তোলে কলকাতা পুলিশ। রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে থেকে প্রথমে সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল যায় পার্কস্ট্রিট থানায়। কিন্তু পরে জানতে পারে, সিপি-র বাড়ি শেক্সপিয়র থানার অধীনে পড়ে। সেখান থেকেই সিবিআই-এর ওই দলটি পৌঁছে যায় শেক্সপিয়র সরণি থানায়। তাঁরা ভিতরে ঢোকার পর দীর্ঘক্ষণ পরেও বাইরে না আসায় সন্দেহ জাগে অনেকেরই। এরপরই সন্ধে সাতটা নাগাদ লাউডন স্ট্রিট থেকে বাকি আধিকারিকদের তুলে নেয় কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী। বাদ দেওয়া হয়নি ডিএসপি সিবিআই তথাগত বর্ধনকেও। কলার ধরে সিবিআই অফিসারদের গাড়িতে তোলে পুলিশ।লাউডন স্ট্রিট দিয়ে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে দেয় পুলিশ। সিবিআই আধিকারিকদের তুলে নিয়ে যাওয়ার পরপরেই পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই আধিকারিকদের শেক্সপিয়র সরণি থানায় ঢোকানোর পরে বাইরে বিরাট পুলিশবাহিনী থানা ঘিরে ফেলে। বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয় সিবিআই দফতর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরেও।এর পরে যত সময় এগোয়, তত বাড়তে থাকে উত্তাপ। রাজীব কুমারের বাড়িতে পৌঁছন ডিজি বীরেন্দ্র-সহ অনুজ শর্মা, বিনীত গোয়েলের মতো শীর্ষ পুলিশ কর্তারা। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শুরু হয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। রবিবার বিকেলেও কলকাতার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাভেদ শামিম সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিলেন, পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন খবর ছড়ানো হচ্ছে। সিবিআই অফিসাররা রাজীব কুমারকে খুঁজছেন-এই তথ্য ঠিক নয়। হাইকোর্টের আদেশানুসারে তা করতে পারে না সিবিআই। আর সন্ধ্যে নামতেই সম্মুখসমর শুরু হয়ে গেল পুলিশ এবং সিবিআই-এর। এই জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, এখন সেটাই দেখার।

রবিবার রাতে কলকাতার রাজপথের যুদ্ধ সোমবার সকালেই পৌঁছতে চলেছে আদালতের দোরগোড়ায়। সিবিআই সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সোমবার সকালেই তারা কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করবে দেশের শীর্ষ আদালতে। ইতিমধ্যে শীতের রাতেই মেট্রো চ্যানেলে গণতন্ত্র ও সংবিধান বাঁচাতে ধর্ণায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশে রয়েছেন রাজীবকুমারও। ও দিকে সিবিআই-ও সলতে পাকাচ্ছে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য। দুর্গাপুরের সভা থেকে শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এ বার টার্গেট কালীঘাট। পাল্টা মমতাও জানিয়ে দিয়েছিলেন, “জেলে যেতে হয় যাব। কিন্তু মাথা নত করব না।” চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না। শুরু হয়ে গেল দিদি-মোদীর সম্মুখ সমর।ইতিমধ্যে শীতের রাতেই মেট্রো চ্যানেলে গণতন্ত্র ও সংবিধান বাঁচাতে ধর্ণায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশে রয়েছেন রাজীবকুমারও। ও দিকে সিবিআই-ও সলতে পাকাচ্ছে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য। দুর্গাপুরের সভা থেকে শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এ বার টার্গেট কালীঘাট। পাল্টা মমতাও জানিয়ে দিয়েছিলেন, “জেলে যেতে হয় যাব। কিন্তু মাথা নত করব না।” চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না। শুরু হয়ে গেল দিদি-মোদীর সম্মুখ সমর।এই ঘটনায় সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তব বলেন, ”রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার। গত দুবছর ধরে তাঁকে দেখা করার জন্য বলা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও রয়েছে। কিন্তু তিনি দেখা করছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। সিবিআই সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই এ দিন গিয়েছিল। পুলিশ কোনও রকম সহযোগিতা করেনি।”

Previous articleরবির সকালে সচিনের সঙ্গে ম্যারাথনে পা মেলালেন ১৫ হাজার মানুষ
Next articleব্রিগেডে শ্রোতা হয়েই রইলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here