দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আর নয় তৃণমূল, এবার গন্তব্য বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ মহল তাই বলছে। সূত্রের খবর, সামনের শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন শুভেন্দু। যদিও তার আগে তৃণমূলের বিধায়ক পদ ও রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা ছেড়ে দেবেন তিনি। তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও জোর গুঞ্জন। এরই মাঝে মঙ্গলবার শুভেন্দুকে ফোন করলেন বিজেপির এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
এদিন শুভেন্দুর জন্মদিন। জানা গিয়েছে, এদিন শুভেন্দুকে ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কৈলাস। দু’জনের মধ্যে প্রায় চার মিনিট কথা হয়েছে। শুভেন্দুকে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন কৈলাস। তবে, কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি বলেই শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর।
তবে রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, এই শুভেচ্ছাবার্তার মধ্য দিয়ে শুভেন্দুর বিজেপি-তে যোগদান আরও ত্বরাণ্বিত হল। কারণ, শুভেন্দুর এত বছরের জন্মদিনে কখনও বিজেপি-র তরফে কেউ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে খবর নেই।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের সভায় মঙ্গলবার নাম না করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘’১০ বছর সুযোগসুবিধা নিয়ে ভোটের সময় পাল্টে যাচ্ছে!যারা বিজেপি-র সাহায্যকারীদের উচিত শাস্তি দিন।’’ ঘটনাচক্রে, শুভেন্দু রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি অবশ্য ১০ বছর নয়। গত চার বছর মন্ত্রী। ২০১৬ সালের ভোটে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে শুভেন্দু বিধায়ক হন এবং তার পর রাজ্যের মন্ত্রী। তার আগে ২০০৯ থেকে তিনি তমলুকের সাংসদ। তারও আগে ২০০৬ থেকে শুভেন্দু দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক ছিলেন৷
যদিও শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের অনেকেই বলছেন, ১৭ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরে স্বাধীন তাম্রলিপ্ত সরকারের একটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। সেইদিন বিকেলেই বিমানে দিল্লি যাবেন। গেরুয়া শিবিরে যোগদানও ওইদিনই। ঠিক তার পরদিনই পূর্ব মেদিনীপুরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে অমিত শাহের সঙ্গেই শুভেন্দুর থাকার কথা। এমনকী দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও শুভেন্দু সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে খবর। এদিন শুভেন্দু নিজেও তৃণমূল ত্যাগের জল্পনা আরও বাড়িয়ে বলেছেন, ‘যারা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন, তারা শুনে রাখুন শুভেন্দু অধিকারী কোনওদিন কোনও পদের লোভ করে না। আমি মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরও লোক আমার সভায় আসে, আমার কথা শোনে। এই সব লোক তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম আনেনি।
অপরদিকে, শুভেন্দুর জন্মদিনের কারণে সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল তাঁর অনুগামীরা। এই কর্মসূচি ঘিরে জল্পনা আরও বেড়েছে শিল্পনগরীর রাজনৈতিক মহলে। গত এক মাসের মধ্যে শহরের একাধিক জায়গায় শুভেন্দুর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স দেখা গিয়েছে। সোমবার ফ্লেক্স সামনে রেখে রক্তদান শিবির বসানো হয়। শিবিরে ১৫ জন রক্ত দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৬ জন প্রথমবার রক্ত দিলেন।