দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আর মেরেকেটে ক’টা দিন। তারপরই এ মরশুমের মতো পাততাড়ি গোটাচ্ছে শীত। বিদায়বেলায় কলকাতা-সহ বাংলায় তাপমাত্রার ওঠানামা অব্যাহত। মঙ্গলবারের তুলনায় আজ শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বাড়ল। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ২৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সরস্বতী পুজোর আগেই রাজ্যে তাপমাত্রা বাড়বে। তবে, তার আগে শীতের আমেজ বজায় থাকবে। গতকাল থেকে অবশ্য কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় জাঁকিয়ে শীত কার্যত উধাও। হাল্কা ঠান্ডা ভাবই বরং বজায় রয়েছে। তবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এখনও হাড়হিম ঠান্ডার আমেজ বহাল রয়েছে। অন্যদিকে, এদিন সকাল থেকেই আকাশ পরিষ্কার। কুয়াশার দাপট চোখে পড়েনি।
আজ কলকাতায় আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৮ শতাংশ, ন্যূনতম ৩২ শতাংশ। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এদিন কোথায় কত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা? আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আসানসোলে পারদ নেমেছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বালুরঘাটের তাপমাত্রা ১১.৮ ডিগ্রি, বাঁকুড়ায় পারদ ছুঁয়েছে ১১.৫ ডিগ্রিতে, ব্যারাকপুরে তাপমাত্রা নেমেছে ১০.১ ডিগ্রিতে,বহরমপুরে পারদ নেমেছে ১৩.৪ ডিগ্রিতে, বর্ধমানের তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ১৩.২ ডিগ্রিতে, ক্যানিংয়ে তাপমাত্রা ১১.৬ ডিগ্রি, কাঁথির পারদ নেমেছে ১০.২ ডিগ্রিতে, কোচবিহারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৩ ডিগ্রি, দার্জিলিং কাঁপছে ৭.৪ ডিগ্রিতে, ডায়মন্ডহারবারে পারদ নেমেছে ১৫ ডিগ্রিতে, দিঘায় তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ১২.৫ ডিগ্রি, দমদমের তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি, হলদিয়ার তাপমাত্রা ১৩.৫ ডিগ্রি, জলপাইগুড়িতে পারদ ছুঁয়েছে ৮.৯ ডিগ্রি, কালিম্পঙে ৬.৫ ডিগ্রি, কৃষ্ণনগরের ১০.২ ডিগ্রি, মালদায় ১৪.৩ ডিগ্রি, মেদিনীপুরে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ১৩.১ ডিগ্রিতে, পানাগড়ে ৯.৫ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১০.১ ডিগ্রি, সল্টলেকে ১৪.৪ ডিগ্রি, শিলিগুড়ির তাপমাত্রা ৮.৬ ডিগ্রি, শ্রীনিকেতনে ৯.৮ ডিগ্রি।
উল্লেখ্য, জানুয়ারির মাঝ সপ্তাহে একেবারে উবে গিয়েছিল শীতের আমেজ। এরপর,খানিকটা কামব্যাকের চেষ্টা করলেও আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় হাড়কাঁপানো ঠান্ডার আমেজ অধরাই থেকে গিয়েছিল শীতপ্রেমীদের কাছে। এরপর ফেব্রুয়ারির শুরুতেই একেবারে স্বমহিমায় দেখা যায় শীতকে। বিগত ১০ বছরে এটাই ছিল শীতলতম ফেব্রুয়ারি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস জানান, এই পরিস্থিতি বিরল, কিন্তু আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও জমিয়ে শীত উপভোগ করেছিলেন বাংলার মানুষ। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকায় সেভাবে শীত উপভোগ করতে পারেননি সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেই অভাব পূরণ করে দিচ্ছে ফেব্রুয়ারির শীত।
এদিকে, গত শনিবার রাত থেকে রবিবার সকালের মধ্যে কলকাতা এবং তার আশপাশের অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টিপাত হয়। সঙ্গে চলে ঝোড়ো হাওয়া। যার জেরে ফের খানিকটা শীতের আমেজ উপভোগ করেন রাজ্যবাসী।