প্রধানমন্ত্রী আসার আগে স্বাভাবিক ভাবেই তুমুল রকমের কড়াকড়ি করা হয় গান্ধীনগরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায়। তারই মধ্যে রাস্তার দু’পাশে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে স্লোগান দিতে দেখা যায় সমর্থকদের। উত্তাল জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় নিরাপত্তা বাহিনীকে।
বিপুল জনস্রোতের মাঝখান দিয়ে মা হীরাবেনের বাসভবনে পৌঁছে যায় প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। বাড়িতে ঢুকে মায়ের পা ছুঁয়ে প্রণাম জানান নরেন্দ্র মোদী। ছেলেকে আশীর্বাদ করে তাঁর মঙ্গলকামনা করেন হীরাবেন।
মায়ের কাছে যাওয়ার আগে আমদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। এর পরে এক জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিও। লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ এর অভূতপূর্ব জয়ের পর এটাই নরেন্দ্র মোদীর প্রথম জনসভা ছিল। ৩০ মে সন্ধ্যে সাতটায় মন্ত্রীদের সাথে রাষ্ট্রপতি ভবনে তিনি শপথ নেবেন।
জনসভায় মোদী বলেন, “আমি গুজরাটের মানুষদের দর্শন করতে এসেছি। এই রাজ্যের মানুষদের আশীর্বাদ আমার কাছে সব সময়েই খুব স্পেশ্যাল।” তিনি আরও বলেন, “ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের পরে আমি বলেছিলাম, ৩০০-র বেশি আসন পাব আমরা। সবাই বিদ্রুপ করেছিল আমায়। কিন্তু এখন তো ভোটের ফলাফল সকলে দেখতে পাচ্ছেন।”