দেশের সময় বনগাঁ:ওয়ার্ড এর কর্মী কিংবা সভাপতিদের সঙ্গে কোন রকম আলোচনা না করেই বিজেপির চক্রান্তে পা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন দলের কাউন্সিলরেরা। এটা দল বিরোধী কাজ। এ ব্যাপারে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত। রবিবার রাতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার পর সাংবাদিকদের এ কথা জানালেন বনগারঁ পৌর প্রধান শংকর আঢ্য।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার এবং শনিবার দুই দফায় মোট ১৪ জন তৃণমূল কাউন্সিলর পুরো প্রধানের বিরুদ্ধে মহকুমা শাসকের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। এই ঘটনায় বনগাঁর রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়ার পর থেকেই কোন এক অদৃশ্য কারণে এই মুহূর্তে ১১ জন কাউন্সিলর বাড়ি ছাড়া। ১২ জুন এই অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর এবং পুরো প্রধানকে নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
সেখানে এই অনাস্থার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এদিকে অনাস্থা প্রস্তাব আসার পর থেকে পুরো প্রধান দলের কয়েকজন কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনায় বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় রবিবার রাতে শহর এবং ব্লক তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন শঙ্কর আঢ্য।
বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, ওয়ার্ডের সভাপতি, কর্মীদের সঙ্গে কোন আলোচনা না করেই ১৪ জন তৃণমূল কাউন্সিলর আমার বিরুদ্ধে অসহযোগিতা, দুর্ব্যবহার, দুর্নীতি ইত্যাদির অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। এটা একেবারেই দল বিরোধী কাজ। আমার তাদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ তারা যেন এলাকায় ফিরে এসে দলের কর্মী, ওয়ার্ড সভাপতি মতামত নেন। সে ক্ষেত্রে সবাই যদি আমার বিরুদ্ধে কথা বলেন তাহলে আমি বিবেক, মানবিকতার তাড়নায় নিজেই পদত্যাগ করবো। সোশ্যাল মিডিয়ার সাংবাদিকদের সামনে অভিযোগ তুলে কিংবা কারোর বাড়িতে লুচি মাংস খেয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিজেপির প্রলোভনে পা দিয়ে দলের কাউন্সিলররা যে কান্ড করেছেন তা মেনে নেওয়া যায় না।
শঙ্কর আরো অভিযোগ করেন, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ব্লক এবং পৌরসভা তে তৃণমূলের পরাজয় হয়েছে সেখানেও কি দলের বিধায়ক কিংবা অন্যান্য পুরো প্রধানরা পদত্যাগ করছেন, নাকি শুধু আমার ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। প্রশ্ন তোলেন তিনি।