দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে করোনা সংক্রমিত এলাকা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নতুন পথে হাঁটল রাজ্য সরকার। কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া বাকি সর্বত্র সব কিছু খোলা যাবে। কনটেনমেন্ট জোনও এখন থেকে বুথ ও ওয়ার্ড অনুসারে ভাগ করা হবে। আবার একটি কনটেনমেন্ট জোনকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’- সংক্রমিত এলাকা, ‘বি’- বাফার এলাকা, ‘সি’- ক্লিন এলাকা। ‘এ’ এলাকায় আপাতত সব বন্ধ থাকবে। ‘বি’ চিহ্নিত এলাকায় কিছু বিধিনিষেধ থাকবে। ‘সি’ চিহ্নিত এলাকায় সব কিছু স্বাভাবিক ভাবে চলবে।
১। ২১ মে থেকে সব বড়, মাঝারি দোকান খুলে যাবে। দোকানদারদের গ্লাভস ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
২। সেলুন, বিউটি পার্লার খোলা যাবে। তবে প্রত্যেকের চুল, দাড়ি কাটার পরে কাঁচি, চিরুনি ইত্যাদি স্যানিটাইজ করতে হবে।
৩। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি, বেসরকারি অফিস খোলা যাবে।
৪। সব শিল্পক্ষেত্র চালু করা যাবে। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করা যাবে।
৫। কোনও শপিং মল খুলবে না। তবে মলের ভিতরে কোনও বেসরকারি অফিস থাকলে সেটা খোলা যাবে।
৬। হোটেল খোলা যাবে। খোলার আগে স্যানিটাইজ করতে হবে। সামজিক দূরত্ব মানতে হবে।
৬। ২১ মে থেকে ‘এ’ চিহ্নিত কনটেনমেন্ট জোন বাদে অন্যত্র আন্তঃজেলা বাস চলবে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। সরকার বাস চালাবে। বেসরকারি বাস মালিকরাও নিয়ম মেনে চালাতে পারেন।
৭। মাঠে খেলাধূলা চালু করা যাবে। তবে মাঠে কোনও দর্শক থাকতে পারবে না।
৮। ২৭ মে থেকে অটো চালানো যাবে। তবে সর্বাধিক দু’জন করে যাত্রী নেওয়া যাবে।
৯। ২৭ মে থেকে হকাররা দোকান খুলতে পারবেন। জোড়, বিজোড় হিসেবে দোকান খুলবে। পুলিশ হকার কমিটিগুলির সঙ্গে আলোচনা করে এটা চূড়ান্ত করবে।
১০। হকারদের জন্য বিশেষ পাস দেবে পুলিশ। তাতে নম্বর থাকবে। সেটা মেনে হকারদের ব্যবসা করতে হবে। সেখানেও দোকানদারদের মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার বাধ্যতামূলক থাকবে।
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এই সব ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, নিয়ম শিথিল হলেও প্রত্যেকের উচিত সব রকম নিয়ম মেনে চলা, মাস্ক পরে থাকা। এতে নিজেরও সুরক্ষা, অপরেরও সুরক্ষা। দোকান খুললেই ভিড় করবেন না। নিজেদের চেষ্টাতেই সাবধানে থাকতে হবে।