দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সাইক্লোন উমফানের ধ্বংসলীলার পর পরই পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পর দিনই ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র।
হাইলাইটস
- কেন্দ্রের আরও সাহায্যের দাবি জানিয়েছিল নবান্ন।
- উম্পুনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যকে আরও ২, ৭০৭.৭৭ কোটি টাকা দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে থাকা উচ্চপর্যায়ের কমিটি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে এই অর্থ মঞ্জুর করেছে।
ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করার পর এবার সেই খাতে আরও ২৭০৭.৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিপর্যয় মোকাবিলায় বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে পড়ে। নিয়ম হল, ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনার জন্য দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় টিম রাজ্যে যায়। তার পর তারাই সুপারিশ করে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য কত টাকার অনুদান প্রয়োজন। সেই সুপারিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নেতৃত্বে কমিটি বিবেচনা করে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক টিমের সুপারিশ মোতাবেক বাংলাকে আরও প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শুধু বাংলায় নয়, বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে ৬ টি রাজ্যের জন্য মোট ৪৩৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তার মধ্যে উমফানের ক্ষতিপূরণ বাবদ ওড়িশা পেয়েছে ১২৮.২৩ কোটি টাকা। এর আগে উমফানের ক্ষতিপূরণের জন্য আপৎকালীন ভিত্তিতে ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র। ক্ষতিপূরণ প্রাপক রাজ্যের মধ্যে এ ছাড়া রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র ও সিকিম।
তবে পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, কেন্দ্রের এই অনুদানে হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার খুশি হবে না। কারণ, রাজ্যের বক্তব্য ছিল, উমফানের জন্য রাজ্যের প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কেন্দ্রকেও তা জানিয়েছিল রাজ্য। সামনে একুশের ভোট আসছে। হতেই পারে যে এ নিয়েও এক প্রস্থ আকচাআকচি হবে।
প্রসঙ্গত, উমফানের ত্রাণ নিয়ে এর আগে তৃণমূলের এক শ্রেণির নিচুতলার নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সে ব্যাপারে নবান্ন থেকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনেকের এও মত, কেন্দ্র যে আরও ২৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল, এই বিষয়টি আবার রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করতে পারে বিজেপি। তারা তুলে ধরতে পারে দিল্লি বাংলার প্রতি কতটা যত্নশীল।
তবে দেখার, উমফানে যাঁরা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, দিনের শেষে তাঁদের কতটা সুরাহা হয়।