দেশের সময়: মতুয়াদের নাগরিকত্ব পাওয়ার কাজে বাধা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ঠাকুরনগরে সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগ করলেন বনগাঁ লোকসভার বিজেপি সাংসদ তথা সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর।
এদিন শান্তনু আরও অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে মতুয়াদের ভাওতা দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মতুয়াদের জন্য তিনি কোনও উন্নয়নই করেননি। মতুয়াদের পাশাপাশি রাজবংশী, মুসলিমদেরও ভাওতা দিচ্ছেন তিনি। এইসব সম্প্রদায়ের মানুষদের তিনি ভোটের মুখে দুধেল গাই হিসেবে ব্যবহার করছেন।
তিনি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম তিথিতে ছুটি ঘোষণা করলেও এ বছর কোন মতুয়াই সেই ছুটি পাননি। মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ গড়ে দেবার কথা ঘোষণা করলেও সেই পর্ষদ থেকে কোন মতুয়া এখনও পর্যন্ত উপকৃত হন নি। হরিচাঁদ ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার ঘোষণা করা হলেও এখনও পর্যন্ত তার কোনো অস্তিত্ব নেই।
বড়মা বীণাপাণি দেবী অসুস্থ হলে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দাবিকে নস্যাৎ করে শান্তনু বলেন, ব্যক্তি মমতা ব্যানার্জি নন, রাজ্য সরকার তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করত।
শান্তনু ঠাকুরের এইসব অভিযোগ, দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এদিন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম তিথিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখন থেকে যে সরকারি ছুটির কথা মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, তা এ বছর থেকেই কার্যকরী হয়েছে।মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদকে রাজ্য সরকার ১০ কোটি টাকা দিয়েছে। ভোটের জন্য পর্ষদ তার কাজ শুরু করতে পারেনি। হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ হয়ে গেছে।
কিছুটা কটাক্ষের সুরে এদিন মমতা ঠাকুর আরও বলেন, ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগরের ঘাট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের টাকায় তৈরি। ওই ঘাটেই শান্তনু ঠাকুর এবং তাঁর বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর এখন নিয়মিত স্নান করেন।