দেশেরসময় ওয়েব ডেস্কঃ কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে হন্যে হয়ে খুঁজছে সিবিআই। শুক্রবারের পর শনিবারও চিটফান্ড তদন্তে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের মাথাকে পেতে তল্লাশিতে নামলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এ দিন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পূজালীতে একটি নার্সিংহোমে রাজীবের খোঁজে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। রাজীবের পার্কস্ট্রিটের বাড়িতেও হানা দেন গোয়েন্দারা।
এর মধ্যেই রাজীবের বাড়ির পাঁচ কর্মীকে নোটিস দিয়েছে সিবিআই। তাঁদের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে শেষ কবে রাজীব কুমার পার্ক স্ট্রিটে ছিলেন। কবেই বা তিনি সরকারি ঠিকানা ছেড়ে বেরিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার শহর জুড়ে তল্লাশিতে নামে সিবিআই। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ইমেল করে রাজীব কুমারের ফোন নম্বর জানতে চায় সিবিআই। আলিপুরের আইপিএস মেস, রাজীব কুমারের পার্ক স্ট্রিটের বাড়ি, রুবি মোড়ের ভিভান্তা হোটেলে হানা দেয় সিবিআই-এর দল।
শুক্রবার দুপুরে রাজীব কুমারের খোঁজে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি রিসর্টে গিয়েছিল সিবিআই টিম। সেখানে দেখা হয় আর কুমার বা আর কে কুমার নামে কোনও অতিথি এসেছেন কিনা। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমতলার ইবিজা রিসর্টে রাজীবকে খুঁজতে পৌঁছে যায় সিবিআই। শুক্রবার মোট সাতটি জায়গায় প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। শনিবার সিবিআই টিম গিয়েছে ভবানী ভবনে। এখানেই রাজীব কুমারের দফতর।
হাইকোর্ট গত শুক্রবার রাজীবের আইনি রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছিল। তারপর আদাজল খেয়ে নামে সিবিআই। দু’বার রাজীবকে হাজিরার নোটিস দেয় কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। কিন্তু যাননি এই আইপিএস অফিসার। এরপর গত সোমবার রাজীব যান বারাসত আদালতে। সেখান থেকে জেলা জজ কোর্ট হয়ে মামলা গড়ায় আলিপুর আদালতে। কিন্তু প্রতিটি আদালতেই ধাক্কা খেতে হয় সিটের প্রধানকে। আলিপুর আদালত পরোয়ানা ছাড়া রাজীবকে গ্রেফতারে অনুমতি দেয়। পরে আবার শুক্রবার রাজীব কুমার আগাম জামিন আবেদন করেন। সেই মামলার শুনানি চলছে আলিপুর আদালতে।