দেশেরসময় ওয়েবডেস্ক: শহর জুড়ে বিক্ষোভ। শনিবাসরীয় বিকেলে তার মধ্যেই রাজভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তা ভাল। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় এটাই দস্তুর। কিন্তু কৌতূহলের বিষয় হল, কী কথা হল মোদী-মমতার?
এ ধরনের একান্ত বৈঠকের সব খুঁটিনাটি জানা সম্ভব হয় না। কারণ, দু’জনের মধ্যে কথা হয়েছে। তাঁরা যা বলবেন সেটাকেই সত্য বলে ধরে নিতে হবে। তা ছাড়া কতটা তাঁরা বাইরে বলবেন কতটা বলবেন না সেই অগ্রাধিকার তাঁদেরই রয়েছে।
তবে প্রায় ১৫ মিনিট দীর্ঘ বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা রয়েছে অনেক, সে সব বিষয়ে কথা হয়েছে। সেই সঙ্গে এনআরসি, নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ২৮ হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে কেন্দ্রের কাছে। আমরা বলেছি রাজ্যের পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি এবং এনপিআর নিয়ে আমাদের আপত্তির কথা জানিয়েছি।” তাঁর কথায়, “আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, মানুষে মানুষে বৈষম্য হওয়া উচিত নয়। কোনও মানুষ যেন অত্যাচারিত না হয়। আপনারা ভাবনা চিন্তা করুন।”
মমতার কথায়, “আর্থিক পাওনার ব্যাপারে উনি (পড়ুন প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন ফাইল দেখবেন। এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইনের ব্যাপারে বলেছেন প্রয়োজনে দিল্লিতে কথা বলবেন। এটা এখানে কিছু বলতে পারবেন না।”
প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর সচিবালয়ের তরফে অবশ্য এ নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে মোদী-মমতা বৈঠক নিয়ে জোর সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন বাকি বিরোধীরা। বাম এবং কংগ্রেস নেতাদের কটাক্ষ, এ বৈঠক ছিল আসলে সেটিংয়ে মিটিং। পাওনা গণ্ডা যে আলোচনা কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তা লোক দেখানো মাত্র। তাঁদের কথায়, এর আগেও দিল্লিতে গিয়ে একবার সেটিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন মমতা। কিন্তু উনি হয়তো ভয় পাচ্ছেন, আবার সিবিআই-ইডির দাপাদাপি শুরু হতে পারে। তাই আত্মসমর্পণের অঙ্গীকার করে এসেছেন।
মোদীর সঙ্গে ওই সংক্ষিপ্ত বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাণী রাসমনি রোডে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভ মঞ্চে যোগ দেন। সেখানেও তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে এসেছি্ নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার করে নিন। ওই আইন নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। আমরা তা মানছি না।