দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নিয়ম অনুযায়ী বুধবার বর্ষা ঢুকে যাওয়ার কথা ছিল দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু কেরালায় সময়ে এলেও, বাংলায় পৌঁছতে এ বারও একটু দেরি করছে বর্ষা। গত মরসুমে ২১ জুন বর্ষা এসেছিল কলকাতায়। এ বার ততটা দেরির আশঙ্কা নেই। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি নিম্নচাপের হাত ধরে কাল, শুক্রবার বা পরশু, শনিবারের মধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বাতাস ঢুকে পড়বে বাংলায়।
তবে সংশয় তৈরি হয়েছে বৃষ্টির পরিমাণ নিয়ে। মায়ানমার উপকূলের কাছে জন্মানো নিম্নচাপটি ওডিশার দিকে হেলে। অভিমুখও সে দিকে। তাই ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা ওডিশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, এমনকী তেলঙ্গানাতেও। নিম্নচাপের প্রভাবে দখিনা বাতাসের প্রাচুর্যে উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে এ যাত্রায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিই জুটতে পারে দক্ষিণবঙ্গের। শুক্রবার নিম্নচাপের পরিচিত আবহাওয়া মিলতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মেঘলা আকাশ, টিপটিপ করে বৃষ্টি।
তবে গত বছরের চেয়ে এ বছরের পরিস্থিতি তুলনায় ভালো। গরমের বালাই একেবারেই নেই। আমপানে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে উপকূলীয় জেলাগুলিতে। জুনে প্রাক্বর্ষাতেই এ পর্যন্ত ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টি পেয়েছে কলকাতা। সমস্যা দক্ষিণবঙ্গের মাঝামাঝি অংশে থাকা জেলাগুলিকে নিয়ে। আমপানের প্রভাবে সেখানে বেশি বৃষ্টি হয়নি। প্রাক্বর্ষাতেও বৃষ্টি হয়েছে কম। তাই আমন চাষের জন্য জুনের বাকি দিনে পর্যাপ্ত বৃষ্টি প্রয়োজন বীরভূম, বর্ধমান, বাঁকুড়ার মতো জেলাগুলিতে।
আশার কথা, সামান্য দেরিতে হলেও মৌসুমি বাতাসের বঙ্গোপসাগর শাখা ক্রমে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ দিন উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রবেশ করেছে বর্ষা। একধাক্কায় পৌঁছে গিয়েছে মিজোরাম, মণিপুর, ত্রিপুরা, অসমের অনেকটা অংশে। দক্ষিণবঙ্গের শিকে ছিঁড়তে পারে শুক্রবার বা শনিবার। তবে নিম্নচাপটি যে ভাবে সদয় হয়েও বিমুখ করছে, তাতে হতাশ হতে পারেন বাংলার বর্ষাপ্রেমীরা। নিম্নচাপের প্রভাবে মধ্য ভারত, এমনকী পশ্চিমি বাতাসের গতির ফলে মহারাষ্ট্র, গোয়া উপকূলেও প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে৷