দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ একুশের মহাযুদ্ধের মুখে তৃণমূলে ফের ভাঙন! দল থেকে অব্যাহতি চাইলেন বারাসতের বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিৎ ইতিমধ্যেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অব্যাহতি চেয়েছেন। ‘টিকিট না দিলে রাজনীতিতে থাকব না’, সংবাদমাধ্যম–কে সাফ জানালেন চিরঞ্জিৎ। দলের বিধায়কের প্রস্তাবের পালটা মমতা জানিয়েছেন, ‘এ নিয়ে পরে কথা বলব।’ বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন চিরঞ্জিৎ।
সংবাদমাধ্যম –কে এদিন চিরঞ্জিৎ জানিয়েছেন, ‘যদি উনি টিকিট দেন, তাহলে আমার কর্তব্যে ফিরে যাব। টিকিট দিলে আমি ফের লড়ব। ট়িকিট না পেলে আমি কী করব? তারপরে আর রাজনীতিতে থাকব না।’ তাহলে কি এবার আপনি টিকিট নাও পেতে পারেন, এমন আশঙ্কা রয়েছে? জবাবে চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘সেটা জানি না। উনি কাউকে নাও দিতে পারেন।’
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমার বয়সের জন্য অব্যাহতি চাইছি। যে পরিশ্রম করতে হয়, সেটা এই বয়সে শক্ত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, উনি বলেছেন, পরে কথা বলব।’ বিজেপি-তে যোগ দেবেন? অভিনেতার সাফ জবাব, ‘না, একদম না।’ তবে, একুশের ভোট়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আবার ক্ষমতায় ফিরবেন বলে ‘১০০ শতাংশ নিশ্চিত’ চিরঞ্জিৎ।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বারাসত থেকে ভোটে লড়েন চিরঞ্জিৎ। সে বার ব্যালট বাক্সে চমক দিয়ে জয়ের মুখ দেখেন টলিউডে নব্বইয়ের দশকের একদা প্রথম সারির এই নায়ক। এরপর ২০১৬ সালের নির্বাচনেও বারাসত থেকে জয়ের ধারা অটুট রাখেন অভিনেতা।
ভোটমুখী বাংলায় শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে, লক্ষ্মীরতন শুক্লা দল থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে টিকিট না পেলে যেভাবে অব্যাহতির বার্তা দিলেন চিরঞ্জিৎ, তা রাজ্য রাজনীতিতে নয়া মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তৃণমূলত্যাগীদের বিঁধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘যাঁরা তৃণমূলে থেকে তৃণমূলের খারাপ করেন, তাঁদের দলে থাকার প্রয়োজন নেই।তৃণমূল তাঁরাই করবেন, যাঁরা মানুষের কাজ করবেন। শান্তি, স্বস্তিতে থাকতে গেলে তৃণমূলই আপনাদের ভালো বন্ধু। তৃণমূলে কেউ অন্যায় করলে আমি গার্জেন হিসেবে রয়েছি। একদম কানমূলে দেব। দরকার হলে গালে থাপ্পড় দেব। অন্যায় আমি বরদাস্ত করব না। তাই দু-একজন ভয় পেয়ে পালিয়েছে। ভাবছে আমি টিকিট দেব না। কেন দেব?’ দলত্যাগীদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো এও বলেছিলেন, ‘তৃণমূল টিকিট দেবে না। তাই ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। কেন টিকিট দেব?’