দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জয় শ্রীরাম -বিতর্ক এখন রাজ্য ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে পৌঁছেছে। এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বনাম বিজেপি সংঘাতের খবর ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য রাজ্যেও। এবার বারাণসীর পুরহিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তুলসিদাসের লেখা রামচরিতমানস পাঠালেন। সংবাদমাধ্যমকে মহন্ত বালক দাস নামে ওই পুরহিত জানিয়েছেন, তৃণমূল নেত্রীর মনের শুদ্ধিকরণের জন্যই তিনি ওই ধর্মীয় পুস্তক পাঠিয়েছেন। আরও পাঠাবেন।
ভোটের মধ্যে ও ভোটের পরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজ্যে। প্রথমে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ও পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নৈহাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনী শুনে কনভয় থামিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। দুই ক্ষেত্রেই স্লোগান দেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়। এর পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক।
জয় শ্রীরাম স্লোগানের পাল্টা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বিজেপির পক্ষ থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পোস্ট কার্ড যাচ্ছে। অন্য দিকে, নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে বাংলা থেকে ‘জয় বাংলা’ লেখা পোস্ট কার্ড দিল্লি পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। হোয়টাসঅ্যাপেও চলছে স্লোগান রাজনীতি।
এসবই ছিল রাজ্যের মধ্যে। এবার ভিন রাজ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জয় শ্রীরাম’ নিয়ে বিরোধিতার প্রতিক্রিয়া। বারাণসীর পাতালপুরী মন্দিরের পুরহিত মহন্ত বালক দাস সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেছেন, “ওনার বুদ্ধির শুদ্ধিকরণ হবে রামায়ন পাঠ করলে। উনি কেউ ‘জয় শ্রীরাম’ বললে তাদের তাড়া করছেন। এটা থেকে বোঝা যাচ্ছে ওনার মনের অবস্থা। রামের প্রতি তাঁর এই ঘৃণা একদিন পতনের কারণ হবে। সেই কারণেই আমি একটি রামচরিতমানস বই ওনাকে ডাকযোগে করে পাঠিয়েছি। তাঁকে ওই বই পড়ার অনুরোধ করেছি। এটাই তাঁর মন ঠিক করতে পারে। রামকে জানলে মন শুদ্ধ হয়।
আপাতত রামচরিতমানস পাঠালেও তিনি ভবিষ্যতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি রামায়ণ পাঠাবেন বলেও জানিয়েছেন ওই মহন্ত। শুধু তাই নয়, দরকারে তিনি রামায়ণ ব্যাখ্যা করে মমতাকে বুঝিয়ে দিতেও রাজি। তাই নিজের ফোন নম্বরও পাঠিয়েছেন রামচরিতমানসের সঙ্গে পাঠানো চিঠিতে। সংবাদ সংস্থার সূত্রের খবর এ প্রকাশ।