মঙ্গলবার দুই মেগা রোড শো বাংলায়, দুই শিবিরেই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে

0
712

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বর্ষশেষে শীতের দাপট যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপও।
মঙ্গলবার যুযুধান দুই শিবিরের দুই রোড শো-র প্রস্তুতি এখন জোরকদমে। আট দিন আগে বোলপুরে রোড শো করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার সেই বোলপুরেই পাল্টা রোড শো রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রবীন্দ্র-ভাবনা তথা বাংলার সংস্কৃতিকে রক্ষার স্বার্থে প্রস্তাবিত ওই রোড শো-র নেপথ্য কারিগর জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

অন্য রোড-শোটি শুরু হবে উত্তর ২৪ পরগণার টিটাগড় থেকে। তা শেষ হবে খড়দহে। সেটির নেতৃত্বে থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে থাকবেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ, বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত সহ জেলা বিজেপির নেতারা। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মীদের মারধর, খুন ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে হবে এই মিছিল।

শাসক দলের সূত্রের মতে, বোলপুরের রোড শো হতে পারে বর্ণাঢ্য। তাতে বাউল শিল্পীরাও থাকবেন। এমনকি অমিত শাহ যে বাউলের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন, সেই বাসুদেব বাউল গানও ধরতে পারেন সেখানে।
কিন্তু শুভেন্দুর রোড শো-র মেজাজ হতে পারে আগ্রাসী। রবিবার ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে তাঁর উদ্দেশে সমালোচনা করেছিলেন। এও বলেছিলেন, “কী বলছে না বাংলাকে মোদীর হাতে তুলে দিতে হবে। বাংলা কি আলু, পেয়াজ, টমাটো, না জয়নগরের মোয়া। এক বাপের ব্যাটা হলে ডায়মন্ডহারবার তুলে দেখা না”।

শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠদের দাবি, মঙ্গলবার সে সবের জবাব দিতে পারেন গেরুয়া শিবিরের এই তরুণ নেতা। তবে কেবল তাতেই সীমাবদ্ধ না থেকে আক্রমণের নিশানা করতে পারেন তৃণমূলনেত্রীকেও।

বস্তুত বিজেপি শিবিরের অনেকে মনে করছেন, মমতা কৌশলে সৌগত-অভিষেকদের শুভেন্দুকে মোকাবিলার দায়িত্ব দিয়ে নিজে দূরে থাকছেন। ভোটের মুখে একের পর এক সরকারি প্রকল্প ঘোষণা করে উন্নয়নের রাজনীতির অবস্থান নিতে চাইছেন। আর তার মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অপশাসনের অভিযোগ এড়াতে চাইছেন। আর প্রশান্ত কিশোর টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কি কোনও অভিযোগ রয়েছে?


কিন্তু দিলীপ ঘোষদের বক্তব্য, দুর্নীতির দায় সরকারের মুখিয়াকেই নিতে হবে। গরু পাচার, কাটমানি, তোলাবাজি হয়েছে আর মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না কেউ বিশ্বাস করবেন না। সম্ভবত সেই কারণেই এখন তৃণমূলনেত্রীর নাম সারদা মামলার সঙ্গেও জড়িয়ে প্রচার করতে চাইছেন অমিত মালব্যরা। সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা সিবিআইয়ের আপিলের একটি অংশ টুইট করেছেন অমিত। তার পর লিখেছেন, কুণাল ঘোষই তো জেরায় বলেছিলেন, তাঁর ফোন থেকে সারদা কর্তার সঙ্গে কথা বলতেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল।

Previous articleদুই মন্ত্রীর সামনে ভাঙচুর-বিক্ষোভ নেতাজি ইনডোরে ধুন্ধুমার অসংগঠিত শ্রমিকদের
Next articleবাংলার ভোটের আগে ‘ কিসান রেল ’-এর উদ্বোধন মোদীর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here