দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লাদাখ এবং কাশ্মীরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে দু’দিনের সফরে লে পৌঁছলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এই সফরে রয়েছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারভানে৷
মাস দুয়েক ধরে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত এবং চিনের মধ্যে দ্বৈরথ শুরু হওয়ার পরে দিল্লিতে একাধিকবার সেনা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন রাজনাথ সিংহ৷ এবার সরাসরি লাদাখে গেলেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর লাদাখে যাওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু তখন হঠাৎই তাঁর বদলে লাদাখে গিয়ে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷
গত ১৫ জুন রক্তাক্ত সংঘর্ষের সাক্ষী ছিল গালওয়ান। ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন। এর পরে বিস্তর আলোচনা ও চাপের মুখে অবশেষে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে পিছু হঠতে শুরু করে ভারত এবং চিন দু’দেশেরই সেনাবাহিনী৷ তবে জানা গেছে, এখনও প্যাংগং লেকের কাছে কয়েকটি জায়গা থেকে নিজেদের সেনা সরায়নি চিন৷ এবার লাদাখে গিয়ে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷
জানা গেছে, শুক্রবার লাদাখের কাজ সেরে শনিবার শ্রীনগর পৌঁছবেন রাজনাথ৷ সেখানেও কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাক সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন রাজনাথ৷
বিদেশ মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, পূর্ব লাদাখের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এখন যে শান্ত পরিস্থিতি তৈরি করা গেছে, তাতে চিনের তরফে কোনও সমস্যা তৈরি করা হলে মেনে নেবে না ভারত। এর পরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং নিজে পৌঁছলেন সীমান্তে।
চলতি মাসের ৩ তারিখে হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাদাখে পৌঁছে যাওয়াটা অপ্রত্যাশিত ছিল চিনের কাছে। তার পরেই সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেয় চিন। সেই সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি যাতে কোনও ভাবে লঙ্ঘন না করা হয় সেদিকে নজর রাখে ভারতীয় সেনা। বায়ুসেনার বিমান ও হেলিকপ্টর টহল দেয় লাদাখের সীমান্ত জুড়ে।
এই সবটা মিলেই লাদাখ সীমান্ত এখনও জারি রয়েছে চাপা উত্তেজনা। এই বিশেষ সময়েই সশরীরে পৌঁছলেন রাজনাথ সিং। আজ, শুক্রবার ভোর ৬টা নাগাদ তিনি রওনা দেন। সকাল থেকেই শুরু করেন আলোচনা ও পরিদর্শন।