সজ্ঞয় সরকার, মালদহ: বিধানসভা ভোটের মুখেই কি তৃণমূলের হাতছাড়া হচ্ছে মালদহ জেলা পরিষদ? হবিবপুরে প্রার্থী করা সত্ত্বেও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সরলা মুর্মু রবিবার থেকে বেঁকে বসেন বলে খবর।
সরলার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তিনি প্রথমেই জানিয়েছিলেন হবিবপুরে প্রার্থী হতে চান না। তিনি দাঁড়াতে চান পুরাতন মালদহে। কিন্তু কালীঘাটের তরফে সে ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য না করায় মালদহ থেকে রবিবার রাতের ট্রেনে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন সরলা। কলকাতায় পৌঁছে কোথায় যাবেন এ ব্যাপারে সরলা জবাব না দিলেও তাঁর অনুগামীরা দাবি করেছেন, দিদি বিজেপিতে যোগ দেবেন।
সোমবার সে পথের পথিক মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল-সহ জেলাপরিষদের আরও প্রায় ১৫ জন সদস্য। সূত্রের খবর তাঁরাও যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। শেষপর্যন্ত এই জল্পনা সত্যি হলে মালদহ জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে তৃণমূল।
৩৩ আসন বিশিষ্ট মালদহ জেলা পরিষদে তৃণমূলের মোট আসন ছিল ২৭টি। বিজেপির দখলে ছিল ৬টি আসন। এই ছয় বিজেপি সদস্যের মধ্যে উজ্জ্বল চৌধুরী এবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে মালদহ বিধানসভার প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে কর্মাধ্যক্ষ সরলা মুর্মু ও সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল-সহ মোট ১৭ জন বিজেপির দিকে পা বাড়িয়েছেন বলে খবর। এই জল্পনা সত্যি হলে মালদব জেলা পরিষদ খোয়াতে হবে তৃণমূলকে।
একসময় সরলা ছিলেন কংগ্রেসে। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। গত পঞ্চায়েত ভোটের পর মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি করা হয় গৌরচন্দ্র মণ্ডলকে। তখন সরলা ছিলেন সাধারণ জেলা পরিষদ সদস্য। পরে কর্মাধ্যক্ষ হন তিনি। এই দল বদলের জল্পনায় এখন তোলপাড় মালদহের রাজনৈতিক মহল।