দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ
সোমবার নবান্ন থেকে পুরোহিত ভাতার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সেই ইস্যুতেই রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ।
পশ্চিমবঙ্গের আরএসএস মুখপাত্র জিষ্ণু বসু বলেন, “ব্রাহ্মণরা দান গ্রহণ করেন না। তাঁরা সমাজের যে হিত সাধন করেন তার জন্য দক্ষিণা নেন। সমাজ তাঁদের সেই দক্ষিণা দেয়। এটা সরকারের কাজ নয়।”
তাঁর কথায়, পশ্চিমবাংলায় বাংলাভাষী হিন্দুরা বিপন্ন। সরকারের উদ্দেশে আরএসএস মুখপাত্র আরও বলেন, যদি সাহায্য করার দরকার হয় তাহলে নদিয়া, সন্দেশখালিতে যে হিন্দু তফশিলীরা হার্মাদদের হাতে মার খাচ্ছেন, খুন হচ্ছেন, তাঁদের সাহায্য করুন। এই ভাতা ঘোষণার মাধ্যমে সরকার ‘ফাজলামো’ করছে বলেও কটাক্ষ করেন জিষ্ণুবাবু।
ইমাম ভাতা নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপি, আরএসএস তথা হিন্দুত্ববাদীদের সমালোচনার শেষ নেই। অনেকের মতে, ইমাম ভাতার মতো সিদ্ধান্ত আসলে তোষণের রাজনীতিকেই মান্যতা দিয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, লোকসভা ভোটের ফলাফল থেকে স্পষ্ট সংখ্যালঘু ভোটের প্রায় ১৪ আনা তৃণমূল পেলেও উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলে হিন্দু ভোট এককাট্টা হয়েছে বিজেপির দিকে। রাজবংশী থেকে আদিবাসী, সব অংশের ভোট গিয়েছে পদ্ম শিবিরে। তাঁদের বক্তব্য, হিন্দু মনে দাগ কাটতেই এ হেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
যদিও তৃণমূল যাতে সেই কাজ নিশ্চিন্তে না করতে পারে তা রুখতে ময়দানে নেমে পড়ল আরএসএস। সঙ্ঘের উদ্দেশ্য এখন জনমানসে এই ধারণা তৈরি করা যে, ব্রাহ্মণদের ভাতা দিয়ে আসলে সনাতনী হিন্দু সংস্কৃতিকেই জলাঞ্জলি দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।