দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: ফের একবার বড় সাফল্য পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। বেঙ্গালুরু থেকে ২ আইসিস জঙ্গিকে গ্রেফতার করল তারা। এনআইএ-র অভিযোগ, এই জঙ্গিরা বেঙ্গালুরুর মুসলিম যুবকদের আইসিস জঙ্গি শিবিরে যোগ দেওয়ানোর কাজে নিযুক্ত ছিল। বেঙ্গালুরু থেকে সিরিয়ার এই জঙ্গি সংগঠনের জন্য তারা অর্থ সংগ্রহের কাজও করত বলে অভিযোগ।
এনআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে, দুই যুবকের নাম আহমেদ আব্দুল কাদের (৪০) ও ইরফান নাসির (৩৩)। আব্দুল চেন্নাইয়ের একটি ব্যাঙ্কে বিজনেস অ্যানালিস্টের কাজ করত। ইরফান একজন চালের ব্যবসাদার। জানা গিয়েছে, দু’জনেই আইসিসের একটি গ্রুপ হিজব-উত-তেহরির সদস্য। তাদের দু’জনকেই ১০ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, ধর্মীয় সংঘর্ষে ইন্ধন প্রভৃতি একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনার পরে এনআইএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ওরা কোরান সার্কেল নামের একটা গ্রুপ তৈরি করেছিল। এই গ্রুপের মাধ্যমে বেঙ্গালুরুর কিছু মুসলিম যুবককে ভুল বুঝিয়ে তাদের সিরিয়া পাঠানোর কাজ করত তারা। সেখানে গিয়ে আইসিস জঙ্গিদের কাছে তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে ভারতে ফিরে আসত।”
এনআইএ সূত্রে খবর, গত মাসে ইসলামিক স্টেট খোরাশান প্রভিন্সের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় নাশকতার কাজে যুক্ত ছিল তারা। তাদের জেরা করেই বেঙ্গালুরুর মডিউলের আরও অনেকের খোঁজ পায় এনআইএ। এই বিষয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এই বিষয়ে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ইসলামিক স্টেট খোরাশান প্রভিন্সের এক সদস্য ডক্টর আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জেরা করার সময়েই ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যারা সিরিয়া গিয়ে আইসিস সংগঠনে জঙ্গি দিয়েছে তাদের একটা তালিকা পাওয়া যায়। তার উপর নির্ভর করেই একটি আলাদা মামলা দায়ের করা হয়।
বেশ কিছু নিষিদ্ধ সংগঠনের নামও উঠে আসে। এই সংগঠনের কয়েকজন নেতার নাম পাওয়া যায়। তারা শুধুমাত্র মানুষকে যোগ দেওয়াই নয়, টাকা তোলার কাজও করত।”
এর আগে ইসলামিক স্টেট খোরাশান প্রভিন্সের যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়, তাদের নাম জাহানজাইব শামি, হিনা বাসির, আবদুল্লাহ বাসিথ, সাদিয়া আনোয়ার শেখ ও নাবিল সিদ্দিক খাতরি। তাদের মধ্যে জাহানজাইব দিল্লির, হিনা কাশ্মীরের, আবদুল্লাহ হায়দরাবাদের এবং আনোয়ার ও নাবিল পুণের বাসিন্দা।
দিল্লি আদালতে তাদের নামে চার্জশিট দায়ের করা হয়। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, ধর্মীয় সংঘর্ষে ইন্ধন প্রভৃতি একাধিক ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে এনআইএ।