দেশের সময় ওযেবডেস্কঃ করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল রাজ্য। আর তার মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে গ্রীষ্ম। তাপমাত্রার পারদ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী বঙ্গে। গরমে নাজেহাল শহরবাসীর এখন একটাই প্রশ্ন, বৃষ্টির দেখা মিলবে কবে? তবে এই প্রশ্নের উত্তরে একেবারেই আশা জাগাতে পারেনি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টির সম্ভাবনা তো অতি ক্ষীণ বটেই, উলটে চড়চড় করে পারদ উঠবে কলকাতা সহ গোটা দক্ষিনবঙ্গে। আগামী পাঁচ দিনে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলার তাপমাত্রার পারদ ছুঁতে পারে ৪০ ডিগ্রি।
ভ্যাপসা, প্যাচপ্যাচে গরম আর অস্বস্তিকর পরিস্থিতির থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বৃষ্টি চাইছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেভাবে আশার কোনও খবর শোনাতে পারল না আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বরং বাড়বে শহর কলকাতার তাপমাত্রা। আবহাওয়াবিদ সুজিব করের কথায়, ‘প্রচণ্ড হারে বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা। এমনকী, ৪০ ডিগ্রিও ছুঁতে পারে তাপমাত্রার পারদ। প্রায় সাত থেকে আটদিন প্রবল গরম থাকবে।’ আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কলকাতার আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে। অস্বস্তি বাড়াবে আপেক্ষিক আর্দ্রতা।
হওয়া অফিস জানাচ্ছে, রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও আগামী সপ্তাহের শুরুতেই রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় স্বস্তি ফেরাবে ঝড়বৃষ্টি। আগামী মঙ্গলবার রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম বর্ধমান এই জেলাগুলিতে সম্ভাবনা রয়েছে বৃষ্টিপাতের।
অন্যদিকে, একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঘূর্ণাবর্ত রূপে অবস্থান করছে জম্মু-কাশ্মীর এবং উত্তপর পশ্চিম রাজস্থানে। এর জেরে আগামী কয়েকদিনে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে লাদাখ, হিমচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে। আগামী চার-পাঁচ দিনে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।